খোলামেলা ছবি বিক্রি করে জীবন পাল্টালেন : সিজে মাইলস

0
102
খোলামেলা ছবি বিক্রি করে জীবন পাল্টালেন : সিজে মাইলস

টাইমস বিদেশ :
১৩ বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে গৃহহীন হওয়া একটি মেয়ের দারিদ্র্যের যন্ত্রণা আর কে ভালো বুঝতে পারে? ভিক্ষা করে খাওয়ার পর নিজের মনকে শক্ত করতে পড়াশোনা করার কথাও মনস্থির করেছিলেন তিনি। তারপর ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েন। সংসার সামলানোর জন্য কল সেন্টারে চাকরি শুরু করেন। ফিলিপাইনে বেড়ে ওঠা, সিজে মাইলস পরিবারকে ভাত জোগাতেই প্রথমে প্রাপ্তবয়স্কদের সাইট অনলি ফ্যানস এ খোলামেলা ছবি বিক্রি করা শুরু করেন। আজ সেই কাজেই তিনি একজন শক্তিশালী এবং স্বাধীন মহিলা হিসেবে তার পরিচয় তৈরি করতে পেরে খুশি। কারণ এই প্রাপ্তবয়স্ক সাইটটি তাকে সবকিছু দিয়েছে, যা তার এবং পরিবারের প্রয়োজন মেটাতে পারে। সিজে একটি পডকাস্ট শোতে একটি কথোপকথনের সময় তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। হলি রান্ডালের আনফিল্টারড পডকাস্টে, সিজে তার কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং অধ্যয়ন সম্পর্কে বলেছিলেন। এর সঙ্গে, শৈশব থেকে প্রাপ্তবয়স্ক মডেল হয়ে ওঠার সমস্যা থেকে, তিনি কেন এবং কীভাবে একজন প্রতিশ্রæতিমান এবং পরিশ্রমী ছাত্র থেকে একজন প্রাপ্তবয়স্ক তারকা হয়ে উঠলেন তা শেয়ার করেছেন। কল সেন্টারের কাজের বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, পড়াশুনার পর সে কল সেন্টারে টেক সাপোর্ট হিসেবে কাজ করতে হয়েছে তাকে। কিন্তু পরিশ্রমের বিনিময়ে পাওয়া অর্থ ছিল খুবই কম। যার কারণে উন্নত জীবনযাপন সম্ভব হয়নি। তিনি এর কারণ জানিয়েছেন, যে তিনি ফিলিপাইনে থাকতেন।তিনি ফিলিপাইনে থাকতে চাননি। কারণ সেখানে মাসে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা পাওয়া যেত। যেখানে তাকে ৮ বছর ধরে ১২ জনের সঙ্গে বাঙ্কারের মতো একটি বাড়িতে থাকতে বাধ্য করা হয়েছিল। তাই মডেল মাইস্পেস সাইটে তার ছবি শেয়ার করতে শুরু করেন। তার পর থেকেই সিজের প্রাপ্তবয়স্ক শিল্পে একটি উজ্জ্বল কর্মজীবনের শুরু। এর আগে, তিনি প্রাপ্তবয়স্ক সাইটের প্রাক্তন মালিক বিল ফক্সের সাথে দেখা করেছিলেন, তখনই তিনি তাকে এখানে কাজ এবং উপার্জন সম্পর্কে বলেছিলেন। একই সময়ে, ইনস্টাগ্রামে সিজের এর ২.২ মিলিয়ন ফলোয়ার রয়েছে। যা তার কাজে সহায়তা করে।