খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ১৫ই মে : তফসিল ঘোষনা

0
899

সাইমুম মোর্শেদ,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
আগামী ১৫ মে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার দুপুরে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। একইদিনে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হবে। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১২ এপ্রিল, যাচাই-বাছাই ১৫ ও ১৬ এপ্রিল, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৩ এপ্রিল। ২৪ এপ্রিল প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।
খুলনায় সাধারণ ওয়ার্ড ৩১টি এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১০টি। মোট ভোটার ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৪৫৩ জন।খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুস আলীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।খুলনা সিটিতে ভোট হয়েছে ২০১৩ সালের ১৫ জুন। প্রথম সভা হয় ২০১৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর। এ সিটির মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর। ৩০ মার্চ নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হবে।
২ এপ্রিল থেকে ৪ মে এইচএসসি পরীক্ষার সূচি রয়েছে। ১৭ মে থেকে শুরু হবে রোজা। সেক্ষেত্রে ৪০-৪৫ দিন সময় রেখে মে মাসে দুই সিটির ভোট শেষ করে বাকি তিনটি পরবর্তীতে একসঙ্গে নির্বাচন করা হবে।

এদিকে,খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে ততই নির্বাচনী তৎপরতা বাড়ছে। যদিও বেশ আগে থেকেই মাঠে নেমে, প্যানা-পোস্টারে শুভেচ্ছার মাধ্যমে নিজেদের প্রার্থীতা জানান দিয়েছেন অনেকেই।

এদিকে, বড় দু’টি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি এখনও কেসিসির মেয়র প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি। তবে, সম্ভাব্য তালিকায় গ্রীন সিগনালে রয়েছেন একাধিক নেতা। নৌকা আর ধানের শিষের প্রার্থীতা নিয়ে সাধারণ নেতা-কর্মী এবং নগরবাসীর মধ্যে কৌতূহল কাজ করছে। কোন দল কাকে মনোনয়ন দিচ্ছে-এটিই জানার আগ্রহ সবার মধ্যে। তবে, নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক হওয়ার পরই দলীয় প্রার্থীর চূড়ান্ত ঘোষণা আসার অপেক্ষায় রয়েছেন নেতা-কর্মীরা।

কেসিসির মেয়র পদে দলীয় প্রতীক পেতে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের শুরু হয়েছে কেন্দ্রে দৌড়ঝাঁপ। নগর পিতার চেয়ার পুনরুদ্ধারের সর্বাত্মক চেষ্টায় আওয়ামী লীগ। আর জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চায় বিএনপি। সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠে নেমে পড়েছেন। এবার আওয়ামী লীগ-বিএনপির একাধিক প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। বেশ আগে থেকেই নগরজুড়ে পোস্টার, প্যানা, ফেস্টুন ও ব্যানার দিয়ে নিজেদের প্রার্থীতা জানান দিয়েছেন তারা। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দলের একাধিক নেতা রয়েছেন। তবে, নির্বাচনী মাঠে শেষ পর্যন্ত কয়জন টিকে থাকবেন-সেটি নিয়েই চলছে আলাপ-আলোচনা। কে কোন দলের মেয়র প্রার্থী হতে পারেন, কার জয়লাভের সম্ভাবনা আছে-ইত্যাদি আলোচনায় উঠে আসছে। তবে সব কিছু ছাপিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুু হচ্ছে মেয়র পদের প্রার্থী নিয়ে। এই প্রথমবার দলীয় প্রতীকে মেয়র প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নেবেন। মেয়র পদে কে পাচ্ছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক, আর কেইবা পাচ্ছেন বিএনপির ধানের শিষ-তা নিয়েই চলছে জল্পনা-কল্পনা।

সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য প্রচারণায় রয়েছেন কেসিসির বর্তমান মেয়র ও নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, সাবেক মেয়র ও খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমানে বাগেরহাটের রামপাল-মংলা আসনের সংসদ সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেক, জেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট এসএম শফিকুল আলম মনা, সদর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, মহানগর যুবলীগের আহবায়ক এডভোকেট আনিছুর রহমান পপলু, জাতীয় পার্টি (জাপা) নগর আহবায়ক এসএম মুশফিকুর রহমান, জাতীয় পার্টি (জেপি) নগর শাখার সাধারণ সম্পাদক কাজী মাসুদ আহম্মেদ এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মহানগর সভাপতি মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক। তবে তালুকদার আব্দুল খালেক এবং মনিরুজ্জামানের পক্ষে কোন প্রচারণা শুরু না হলেও বাকিরা ইতোমধ্যেই নিজেদের প্রার্থীতা জানান দিয়েছেন।