খবর বিজ্ঞপ্তি:
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে প্রকৌশলীদের আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে এই সংকটের উত্তরণ ঘটানো দরকার। তিনি বলেন, খুলনাকে সুন্দর পরিচ্ছন্ন সমৃদ্ধ নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে আমি নগরবাসীকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তা বাস্তবায়ন শুরু করেছি। এ কাজে প্রকৌশলী ও কনসালট্যান্টদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
সিটি মেয়র সোমবার বেলা ১১টায় নগর ভবনের জিআইজেড মিলনায়তনে ‘খুলনা শহরের জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন’’ শীর্ষক প্রকল্পে নিয়োজিত কনসালট্যান্ট ও সুপারভিশন কাজে নিয়োজিত প্রকৌশলীদের সাথে কেসিসি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
সভায় সভাপতির বক্তৃতায় কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক আরো বলেন নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন কাজের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে নদী ও খালের ওপর থেকে অবৈধ স্থাপনাসমূহ উচ্ছেদ করা হচ্ছে। পাশাপাশি যানজট নিরসনকল্পে ব্যাটারী চালিত রিকসা বন্ধ করা হয়েছে। নাগরিক জীবনে স্বাচ্ছন্দ সৃষ্টি এবং নাগরিক সেবা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কেসিসি কর্তৃপক্ষ আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে। এ কাজে সহযোগিতায় নগরবাসীকেও এগিয়ে আসতে হবে।
মতবিনিময় সভায় কেসিসি’র কাউন্সিলর শেখ মো: গাউসুল আজম, ইমাম হাসান চৌধুরী ময়না, কাজী আবুল কালাম আজাদ বিকু, জেড এ মাহমুদ ডন, ফকির মো: সাইফুল ইসলাম, মো: আরিফ হোসেন মিঠু, শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর লুৎফুন নেছা লুৎফা, মাজেদা খাতুন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্ম সচিব) পলাশ কান্তি বালা, প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) লিয়াকত আলী খান, নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান, চীফ প্লানিং অফিসার আবির উল জব্বার, প্রকল্পের সুপারভিশন কাজে নিয়োজিত খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ড. মো: শাহজাহান আলী, ড. মো: হারুনার রশীদ, ড. মো: রোকনুজ্জামান, ড. সজল কুমার অধিকারী, কনসালটেন্সী ফার্ম ডেভলপমেন্ট ডিজাইন কনসালট্যান্স লি. এর কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো: ফরহাদ হোসেন, কেসিসি’র সহকারী প্রকৌশলী শেখ মো: মাদুদ করিম, শেখ মোহাম্মদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল ১০টায় সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক নগরীর ২৭নং ওয়ার্ড কার্যালয় অডিটরিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ওয়ার্ডের বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে ভাতা বিতরণ করেন। স্থানীয় কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মাজেদা খাতুন, সাবেক কমিশনার ও মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শেখ সিদ্দিকুর রহমান, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ফেরদৌস হোসেন লাবু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র ১০৫ জন বয়স্ক ব্যক্তি এবং ২০ জন প্রতিবন্ধীর মাঝে ভাতা প্রদান করেন। বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের ভাতা প্রদানের মাধ্যমে তাদের মুখে হাসি ফোটানোর ব্যবস্থা করায় সিটি মেয়র বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ইতোপূর্বে কোন সরকার বয়স্ক, প্রতিবন্ধীসহ গর্ভবতী মায়েদের ভাতার আওতায় আনেনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ খাতে ৬৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছেন। পাশাপাশি তিনি গৃহহীনদের নতুন ঘর নির্মাণের জন্য সহযোগিতা দান শুরু করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর এ উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে এদেশে কোন লোক আর গৃহহীন থাকবে না।