খুলনা-যশোরাঞ্চলে রেলের গেট কিপারদের স্থায়ী করনের দাবী : ছাঁটাইয়ের অভিযোগ

0
780

রেলওয়ের অস্থায়ী জিকে লেভেল ক্রসিং গেট কিপারদের বেতন ও এরিয়ার টাকা পরিশোধ না করে অনিয়ম ভাবে চাকুরী থেকে অব্যাহতি দেয়ার অভিযোগ করেছে অস্থায়ী গেট কিপাররা। ইতিমধ্যে খুলনার কয়েজনকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা। ফলে খুলনা যশোর বেনাপোল অঞ্চলের অস্থায়ী রেল ক্রসিং গেট কিপারদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
চাকরী হারাবার ভয়ে তার কাজেও মন বসাতে পারছেননা। যার কারনে খুলনা থেকে বেনাপোল পর্যন্ত লেভেল ক্রসিং গেট গুলিতে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। ভুক্তভোগী খুলনা যশোর বেনাপোল অঞ্চলের ৬৬ জন অস্থায়ী রেল ক্রসিং গেট কিপাররা খুলনা জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় শ্রম দপ্তর খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ও খুলনা ২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজানের নিকট অনিয়মভাবে চাকুরীচ্যুত বন্ধ করার লিখিত দাবী জানিয়েছেন। জানা গেছে, খুলনা যশোর বেনাপোল অঞ্চলে খুলনায় ১২ জন, যশোর ও বেনাপোলে ৫৪ সহ মোট ৬৬ জন গেট কিপার অস্থায়ীভাবে লেভেল ক্রসিং গেটে দায়ীত্ব পালন করে আসছে। এদের মধ্যে অনেকের ৫ থেকে ১০ বছর অভিজ্ঞতা সম্পন্ন লোক গেট কিপারের দায়ীত্ব পালন করেছে।
গত ২৭ মার্চ থেকে রেলের প্রকল্প ঠিকাদারদের নিয়োগ প্রাপ্ত কয়েকজন খুলনার মুজগুন্নি রেল ক্রসিং গেট নং-ই-৮৩ ও গোয়ালখালির ই-৮২ নং গেটে নুতন গেটে দায়ীত্ব পালন করতে এলে পুরানো অস্থায়ী গেট কিপাদরে মধ্যে উত্তেজনা সৃস্টি হয়। এ সময় স্থানীয় লোকজনদের সহযোগীতায় অনাভিজ্ঞ লোকদের কাজে যোগদান করা থেকে বিরত রাখে। খুলনার রেল কর্তৃপক্ষ কোন কাগজ পত্র ও দপ্তরের শীল স্বাক্ষার ছাড়া এবং পাঁচ মাসের বকেয়া বেতন এরিয়ার টাকা পরিশোধ না করে মৌখিক ভাবে অভিজ্ঞ লোকদের কর্মস্থল থেকে সরিয়ে ঠিকাদারদের নিয়োগকৃত লোকদের লেভেল ক্রসিং গেটে, গেট কিপারদের দায়ীত্ব দেয়া হচ্ছে। যার কারনে লেভেল ক্রসিং গেট সংলগ্ন বাসিন্দারাও উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছে।
খুলনার ই-৮৪ নম্বর গেটের কর্মরত গেট কিপার মোঃ গোলাম মোস্তফা (দাপ্তরিক নং-ই-২) জানান, গত বছর জুলাই এবং ডিসেম্বর মাসের বেতনসহ ও চলতি বছরের ৫ মাসের বেতন দেয়া হচ্ছে না। এমনকি প্রত্যেকের বেতন থেকে প্রতিমাসে ৭৭০ টাকা করে কেটে রাখা হতো বলে অনিয়মের অভিযোগ করেন তিনি। এ ছাড়া ২০১৬ সালের জুলাই মাস থেকে ১৩ হাজার ৫শ টাকা বেতন ধার্য করা হলেও এ পর্যন্ত (১৮ মাস)এ বাড়তি বেতন দেয়া হয়নি এবং তাদের এরয়িার হিসাবও প্রদান করেনি বলে গোলাম মোস্তফা জানান। তিনি বলেন স্থায়ী হওয়ার আশায় তাদের মধ্যে অনেকে ১০ বছর পর্যন্ত সাত হাজার সাতশ সত্তর টাকায় ১২ ঘন্টা শ্রম দিয়েছেন। গত ডিসেম্বর মাস থেকে তাদের বেতন বৃদ্ধি হলেও সে বেতন তাদের দেয়া হয়নি।
ই-৮৬ নং গেট কিপার মিজানুর রহমান জানান, স্থায়ী করার কথা বলে তাদের কাছ থেকে ২/৩ লক্ষ টাকা নিয়ে ছিল উর্দ্ধতন কয়েকজন কর্মকর্ত। এখান সে টাকার পাশাপাশি চাকুরী হারাবার ভয় পেয়ে বসেছে তার পরিবারের মধ্যে। তারা দাবী করেছে অভিজ্ঞতার আলোকে তাদেরকে স্ব-স্ব স্থানে স্থায়ীয় করা হোক। এ ছাড়া জীবন চলে গেওে তারা গেট ছাড়বেননা বলে জানান। এ বিষয়ে রেলওয়ে যশোরের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী বীর মন্ডল জানান, সরকারী সার্কুলারের অংশ হিসেবে ও মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে প্রকল্পের ঠিকাদারের মাধ্যমে নতুন লোক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। বর্তমান কর্মরত সবাই মাস্টাররোল কর্মচারী ফলে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নির্বাহী আদেশে তাদের ছাটাঁই করা হচ্ছে। তাদের বকেয়া ৫ মাসের বেতন কয়েকদিনের মধ্যে পরিশোধ করা হবে এবং এ খানে কোন অনিয়ম করা হয়নি বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে রাজশাহী চিফ পার্সোনাল মোঃ রমজান আলীর ০১৭১১৫০৬১০২ এবং ০১৭১১৫০৫৩০৯ দুটি নম্বরে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

প্রতিনিধি