খুলনা মেডিকেলে ডেঙ্গুতে নারীর মৃত্যু

0
318

খুলনাটাইমস: মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডের সমন্বয়কারী পার্থ প্রতিম জানান, ডেঙ্গুজ¦রে আক্রান্ত রোজিনা বেগমকে গত বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯ টা ৪০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। রোজিনা যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা সদরের খায়রুল ইসলামের স্ত্রী। এদিকে খুলনা অঞ্চলে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে বলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সৈয়দ জাহাঙ্গীর হোসেন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে অন্তত দেড়শ রোগী ভর্তি হচ্ছেন। বিভাগের দশ জেলায় এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত ২৪ জন রোগী মারা গেছে, যার মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। জাহাঙ্গীর বলেন, অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকবে। শীত অনুভব করার পরপরই এডিস মশার বিস্তার কমবে। তবে আগামি বছর এ অঞ্চলে ডেঙ্গুর প্রকোপ ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া এডিস মশার প্রজননস্থল চিহ্নিত এবং আগামি বছরের কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি প্রতিনিধি দল বুধবার থেকে যশোরে এবং অপর একটি প্রতিনিধি দল গতকাল শুক্রবার থেকে খুলনায় জরিপ কার্যক্রম শুরু করেছে বলে এ চিকিৎসক জানান। এ প্রতিনিধি দলের সুপারভাইজার রয়েছেন ঢাকা সিভিল সার্জন অফিসের জেলা কীটত্বত্তবিদ এফএইচএম নুরুন্নবী চৌধূরী ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিনিয়র কীটত্বত্তবিদ মো. রেজাউল করিম। খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক দপ্তরের সহকারী পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ফেরদৌসী আক্তার বলেন, খুলনার বিভিন্ন জেলায় এ পর্যন্ত মোট ৭ হাজার ৩৫৩ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের এর মধ্যে এখনও চিকিৎসা নিচ্ছেন ৫১৮ জন। বাকিরা চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্ হয়েছেন। এছাড়া আক্রান্ত জেলাগুলোর মধ্যে যশোর, কুষ্টিয়া ও সাতক্ষীরা আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। যশোরের মনিরামপুর ও সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলায় ডেঙ্গুজ¦রের প্রকোপ বেশি বলে জানান ফেরদৌসী। এ পর্যন্ত আক্রান্তের মধ্যে যশোর জেলায় ২ হাজার ৩১১ জন, কুষ্টিয়ায় ৯৬২ জন, খুলনায় ২০০ জন, বাগেরহাটে ২৩০ জন, সাতক্ষীরায় ৪৮০ জন, ঝিনাইদহে ৩৭৮ জন, মাগুরায় ৩৩৮ জন, নড়াইলে ৩০১ জন, চুয়াডাঙ্গায় ১১৫ জন, মেহেরপুরে ১৯০ জন এবং খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৯৬৪ জন চিকিৎসা নিয়েছেন।