খুলনা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ

0
417

নিজস্ব প্রতিবেদক : খুলনা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন সভাপতি প্রার্থী মো: ইলিয়াস হোসেন সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী শেখ আলী আহমেদসহ কতিপয় ব্যক্তি। সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় পৃথক দুটি জিডি এবং পুলিশ কমিশনার,ডিআইজি ও জেলা প্রশাসক বরাবর দরখাস্তের মাধ্যমে তারা এ অভিযোগ উত্থাপনের সাথে প্রতিকার প্রার্থনা করেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর এনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

 

সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় দায়েরকৃত জিডিতে সভাপতি প্রার্থী মো: ইলিয়াস হোসেন সোহেল অভিযোগ করেন তার এজেন্টকে জোরপূর্বক ধাক্কা দিয়ে ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়। পরে ব্যারট বাক্স মালিক সমিতির দোতালায় নিয়ে যাওয়া হয়। ব্যালট বাক্সের চাবি সেখানে সন্দেহজনক অবস্থায় ছিল। এ বিষয়ে সেখানের লোকজনের কাছে জানতে চাইলে জাকির হোসেন বিপ্লব গং ইলিয়াস হোসেন সোহেল কে ভয় ভীতি প্রদর্শন করে।

তিনি জিডিতে আরো উল্লেখ করেন নির্বাচনের দিন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যদের সাথে তার কথা কাটাকটি হয়। এর জের ধরে নির্বাচনের পরের দিন রাতে মটর সাইকেল যোগে কিছু লোক ইলিয়াসের বাড়ীর গেটে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে ও লাথি মারে। জিডিতে মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী শেখ আলী আহমেদ ও একই ধরনের অভিযোগ করেন।

 

ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রার্থী (রেকেট) মোঃ রিয়াজুল কবির খুলনাটাইমসকে অভিযোগ করেন,
জাকির হোসেন বিপ্লব এর প্রধান পোলিং এজেন্ট রাজুল হাসান রাজু, জুবায়ের রহমান শাওন, আসলাম, ইয়াছিন আরাফাত সাগর মিলে আনারস মার্কায় সিল মারে। এছাড়া প্রতিটি বুথে তাদের একজন লোক ছিলো জোরপূর্বক ভোট কেড়ে নেয়ার জন্য।

মো: দুলাল শেখ ও বাদল শিকদার দু’জন ভোটার খুলনাটাইমসকে অভিযোগ দেন, তাদের কাছ হতে জোরপূর্বক ব্যালট কেড়ে নেয়া হয়। শাওন ও আসলামসহ আরও তিনচারজন জোরপূর্বক ব্যালট নিয়ে বলে আমরা ভোট দিয়ে দিচ্ছি। এসময় তারা প্রতিবাদ করলে হাতাহাতি শুরু হয়, প্রার্থী জাহিদ খান এসে গোলযোগ মিটিয়ে দেন।

অবশ্য, নির্বাচন সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ হয়েছে বলে দাবি করেন আলহাজ্ব আনিস মোড়ল। তিনি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ছিলেন। উপরেল্লেখিত কারচুপি অভিযোগ সঠিক নয় বলে খুলনাটাইমস’র কাছে দাবি করেন।