খুলনা বিভাগীয় ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সেলিম সভাপতি ও দুদু সম্পাদক নির্বাচিত

0
503

টাইমস প্রতিবেদক:
খুলনা বিভাগীয় ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজি নং-৬২২) ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে মো: সেলিম হোসেন সভাপতি ও মোঃ আঃ রহিম বর্কস (দুদু) সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন। এরমধ্যে সেলিম এবারই প্রথম ইউনিয়নের সভাপতি হলেন, সাবেক সভাপতি কাজী মো: সরোয়ার হোসেন হতে ৩শ’ ভোটে এগিয়ে জয় ছিনিয়ে নেন। আর মোঃ আঃ রহিম বর্কস (দুদু) বিগত কয়েবারের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক, এবারের নির্বাচনে মোঃ আকরাম সরদার থেকে ৩শ’ ভোটে এগিয়ে থেকে জয় পান। নির্বাচনে ৯৬ জন প্রার্থী লড়েছেন। ৬ হাজার ৬শ’ ৬৮ জনের মধ্যে ৫ হাজার ৮শ’ ৮০ জন সদস্য ভোট প্রদান করেন।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা। এছাড়া সদস্য সচিব ছিলেন মোড়ল আনিসুর রহমান এবং মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মুন্সী মাহবুব আলম সোহাগ, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ^াস, মহানগর শ্রমিক লীগ সভাপতি রণজিৎ ঘোষ সদস্য ছিলেন। খুলনা বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তরের পরিচালক মো: মিজানুর রহমানের সার্বিক তত্ত¡াবধায়নে নির্বাচন সম্পন্ন হয়। শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মাঠে সকাল ৮টা হতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে এই নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলে।
জানা গেছে, সভাপতি পদে মোঃ সেলিম হোসেন ২৫৯৮ ভোট বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী কাজী মোঃ সরোয়ার হোসেন ২২৯৮ ভোট পান। কার্যকরী সভাপতি পদে মোঃ বাবুল খলিফা ১৪০৭ পেয়ে বিজয়ী হন। ১০৪৯ ভোট পান নিকতম প্রার্থী আঃ বারেক ফারাজী। সহ-সভাপতি পদে মোঃ আবুল হোসেন কার্ফু ২৬১০ ভোট, মোঃ আঃ মান্নান শেখ ১৩৫৩, মোঃ জাহাঙ্গীর হাওলাদার ১৩০৭ ও মোঃ ইউসুফ ১২৯৫ ভোট পেয়ে জয়ী হন।
সাধারণ সম্পাদক পদে মোঃ আঃ রহিম বর্কস (দুদু) ২৯৫৮ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্ব›দ্বী মোঃ আকরাম সরদারের প্রাপ্ত ভোট ২৬৪৮। যুগ্ন-সম্পাদক পদে মোঃ বজলু হাওলাদার ৩০১৬ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার প্রতিদ্ব›দ্বী আজাদ ২৭৮৪ ভোট পান। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মোঃ দুলাল শেখ ১৯৯৬, মোঃ রুহুল আমিন ১৯৪১, মোঃ দেলোয়ার সরদার ১৬০০ ও মোঃ সাগর মিয়া ১৫৮১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মোঃ টিটু খান ২১২৫ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্ব›দ্বী মোঃ শাহাবুল আলম রানার প্রাপ্ত ভোট ১৮৭৪। কোষাধ্যক্ষ পদে মোঃ কাজী হুমায়ুন কবির ৩০৮৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন।
ক্রাচ প্রতীকে ৩ হাজার ২৭ ভোট পেয়ে দপ্তর সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন মো. শাহীন হোসেন মজুমদার। লাইন সম্পাদকের ৬টি পদে যথাক্রমে আপেল প্রতীকে ১ হাজার ৫২৯ ভোটে মো. ইমরান হাওলাদার (মিন্টু), শাপলা ফুল প্রতীকে ১ হাজার ৪৬৭ ভোটে মো. মোফিজুর রহমান (পলাশ), ব্যাট প্রতীকে ১ হাজার ৪৪৮ ভোটে মো. আনোয়ার হোসেন, তাঁরা প্রতীকে ১ হাজার ৩১১ ভোটে মো. নয়ন হাওলাদার, তালা চাবি প্রতীকে ১ হাজার ১৪২ ভোটে রোকা মিয়া এবং মোবাইল প্রতীকে ১ হাজার ৯৯ ভোটে মো. নজরুল ইসলাম কাজী নির্বাচিত হয়েছেন। প্রচার সম্পাদকের দু’টি পদে যথাক্রমে মিনার প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ৯৬০ ভোটে মো. মোতালেব মাতুব্বর, মাইক প্রতীকে ১ হাজার ৮৪৪ ভোটে মো. সায়েদ তালুকদার বিজয়ী হয়েছেন। ক্রীড়া ও সংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ব্যাটারী প্রতীকে ১ হাজার ৫৭২ ভোট পেয়ে আলমগীর হোসেন বিজয়ী হয়েছেন।
নির্বাচন সম্পর্কে মো. মিজানুর রহমান এ প্রতিবেদককে জানান, মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এর নির্দেশনায় ভোট গ্রহণের শুরু থেকে ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত ৩ শ’ পুলিশ, র‌্যাব, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য সহ বিভিন্ন এজেন্সির সদস্যরা পর্যবেক্ষন করেছেন। ভোট প্রদানের জন্য ৮টি ক্যাম্পে ১৮টি করে বুথ করা হয়। ৩০টি সিসি ক্যামেরা দিয়ে নির্বাচনী পরিবেশ তুলে ধরা হয়। নির্বাচন চলাকালে পরিচালনা কমিটির সদস্যগণের প্রতিটি ক্যাম্পে সর্তক দৃষ্টি ছিল। এছাড়া শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রেখে নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি নির্বাচন কমিশন সহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে কৃতজ্ঞা জ্ঞাপন করেছেন।