খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদ্যযাপিত

0
278
????????????????????????????????????

খবর বিজ্ঞপ্তি:
বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে মঙ্গলবার (০১ সেপ্টেম্বর) খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ১৭তম বর্ষপূর্তি, বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন এবং সভাপতিত্ব করেন বিশ^বিদ্যালয় দিবস ২০২০ উদ্্যাপন কমিটির সভাপতি ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম। ভৈরব-রূপসা বিধৌত এ পাদপীঠে দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রতিবছর জাঁকজমকপূর্ণভাবে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করলেও করোনা মহামারীর বর্তমান পরিস্থিতিতে এবছর সংক্ষিপ্ত আয়োজন গ্রহণ করা হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে সঙ্গে উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা। পতাকা উত্তোলন শেষে প্রধান অতিথি বেলুন উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভ উদ্বোধন করেন। এরপর সকাল ১০ টায় বিশ^বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন লেকের পাড়ে বৃক্ষরোপন, সাড়ে ১০টায় লেকে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ, ১১টায় কুয়েটের অর্জনঃ অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত-প্রেজেন্টেশন (জুম এর মাধ্যমে), সাড়ে ১১টায় আলোচনা সভা (জুম এর মাধ্যমে) ও বাদ আছর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া মাহ্্ফিল অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিশ^বিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, “এ প্রতিষ্ঠানের গ্রাজুয়েটরা সুনাম ও দক্ষতার সাথে দেশে এবং দেশের বাইরে কাজ করে চলেছেন। বিষয়টি আমাদের গর্বিত করে”। কুয়েট ভাইস-চ্যান্সেলর বিশ^বিদ্যালয়ের উন্নয়নে ৮৩৮ কোটি টাকার মেগা প্রকল্প প্রদানের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বিশ^বিদ্যালয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সকলের সুযোগ সুবিধা অনেক বৃদ্ধি পাবে। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ২০২০ উদ্যাপন কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. কে এম আজহারুল হাসান, ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) ড. ইসমাঈল সাইফুল্যাহ এবং মূখ্য আলোচক হিসেবে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন আইআইসিটি’র পরিচালক প্রফেসর ড. বাসুদেব চন্দ্র ঘোষ। পাবলিক রিলেশনস অফিসার মনোজ কুমার মজুমদার এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন আইইপিটি এর পরিচালক প্রফেসর ড. এ এন এম মিজানুর রহমান, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. এম এম এ হাসেম, পরিচালক (গবেষনা ও সম্প্রসারণ) প্রফেসর ড. শিবেন্দ্র শেখর শিকদার, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ নূরুন্নবী মোল্লা, মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. সোবহান মিয়া, আরবান এন্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মোঃ মোস্তফা সরোয়ার, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. পল্লব কুমার চৌধুরী, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) প্রফেসর ড. কাজী এবিএম মহীউদ্দিন, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. পিন্টু চন্দ্র শীল, ড. এম এ রশীদ হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. সজল কুমার অধিকারী, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মোঃ আব্দুল হাসিব, এ প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে মার্কজ বিল্ডার্স এর চেয়ারম্যান প্রকৌশলী সৈয়দ মাহাবুবুর রহমান, পিডিবি’র সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী কে এম হাসান, ডিপিডিসি এর বোর্ড ডিরেক্টর প্রকৌশলী মোঃ আবুল হোসেন, পিডিবি’র সাবেক এসই প্রকৌশলী খান মঞ্জুর মোর্শেদ, কনটেক ভিশন লিঃ এর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর প্রকৌশলী মোঃ শাহাদাত হোসেন (শিবলু), এসবিএসি ব্যাংক লিঃ এর এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট (লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স এন্ড রিকভারী) প্রকৌশলী সালাউদ্দীন আহমেদ, বিশ^বিদ্যালয়ের অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ নূরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক সেখ আক্কাস আলী, কর্মকতা সমিতির ( আপগ্রেডেশন) সভাপতি জি এম মনিরুজ্জামান।
উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে খুলনা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে, ১৯৬৮ সালে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন এবং ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশেষ নির্দেশনায় একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়ে ১৯৮৬ সালে এ প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ ইনষ্টিটিউট অব টেকনোলজী (বিআইটি), খুলনায় পরিণত হয় এবং ২০০৩ সালের ০১ সেপ্টেম্বর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়।