খুলনা নগরী সংলগ্ন ময়ূর নদে ৯১ অবৈধ দখলদার চিহ্নিত

0
860

বিশেষ প্রতিবেদক: মহানগরীর পশ্চিমপাশ দিয়ে প্রবাহিত ময়ূর নদ দখলে ৯১ জন চিহ্নিত হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশন যৌথভাবে এ মাসের প্রথম দিকে জরীপ সম্পন্ন করেছে। তারা আটটি মৌজার দখলদারদের চিহ্নিত করে তালিকাও চুড়ান্ত করেছে। খুলনা মহানগরীর জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ ময়ূর নদ ভরাট ও অবৈধ দখলদারদের কারণে দুই তীর সংকুচিত হয়েছে। পাশাপাশি পরিবেশ অধিদফতরের প্রতিবেদনে ময়ূর নদের পানি বিষাক্ত বলে প্রমাণিত হয়েছে।
স্বাধীনতার পর খুলনা নগরীর জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ময়ূর নদের দু’পাশ দিয়ে বসতি গড়ে ওঠে। ময়ূর নদের সীমানার মধ্যেও ঘর-বাড়ি স্থাপন হয়। ফলে বর্ষা মৌসুমে নগরীর পানি নিস্কাশনে অবৈধ দখলদারদের কারণে বাধা প্রাপ্ত হয়। নগরীর ২৫ শতাংশ এলাকা জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে ছোট বয়রা, রায়েরমহল ও বাস্তহারা কলোনী এলাকা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পরে। এবারের কেসিসি নির্বাচনের সসকারি ও বিরোধী দলের প্রধান ইস্যু ছিল জলাবদ্ধতা নিরাশন।
কেসিসি ও জেলা প্রশাসনের যৌথ জরীপে চক মতুরাবাদ মৌজায় ১২ জন, চক হাসানখালী মৌজায় ৫ জন, দেনারাবাদ মৌজায় ১ জন, বানিয়াখামার মৌজায় ৪১ জন, বানরগাতী মৌজায় ৪ জন, ছোট বয়রা মৌজায় ১০ জন, বয়রা মৌজায় ৫ জন ও রায়েরমহল মৌজায় ১৩ জন অবৈধ দখলদার চিহ্নিত হয়েছে। জরীপ দলের সূত্র অনুযায়ী উল্লেখযোগ্য দখলদাররা হচ্ছে বানিয়াখামা মৌজার এস এম জুবায়ের হোসেন, ডাঃ ফরিদ হোসেন, হায়াতুন নেছা, মৌসুমি সুলতানা, বোরহান উদ্দিন, সোহরাব হোসেন, লাবনী আক্তার, ফতেমা আক্তার, শেখ মোঃ জাফর, ফারুকুল ইসলাম ও ওহিদুল ইসলাম।
মঙ্গলবার স্থানীয় একটি হোটেলে নগরীর জলাবদ্ধতার কারণ চিহ্নিত ও প্রতিকারে করনীয় শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে বক্তরা বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে গল্লামারী ব্রিজের দুই তীরে ৩শ’ মিটার করে ময়ূর নদ খননের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২৩ মার্চ কন্সালটেন্ট নিয়োগ ও ড্রেজিং এর জন্য টেন্ডার আহবান করা হবে।
গত রোববার স্থানীয় একটি হোটেলে ওয়াটার অ্যাজ লেভারেজ খুলনা শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষে তৃতীয় কর্মশালায় মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, যেকোন মূল্যে ময়ূর নদ এবং ততসংলগ্ন খালগুলো সচল রাখতে হবে। এ জন্য নদী ও খালের ওপর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ অবৈধ দখলমুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। ময়ূর নদকে কেন্দ্র করে গ্রীন সিটি গড়ে তোলা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।