খুলনা জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের ঘুষ বানিজ্যে অতিষ্ঠ ভূমি মালিকরা

0
1013

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ খুলনা জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের পেশকারের ঘুষ বানিজ্যে অতিষ্ঠ খৃলনা বিভাগের ভুমি মালিকরা । খুলনা জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের ঘুষ খোর পেশকার নজরুল ইসলাম ও অফিস সহকারী আমিনুল ইসলাম ঘুষ ছাড়া কোনো ফাইলে তাদের হাত যেন চলে না । তারা ভূমি মালিকদের হয়রানির পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে এবং অধস্তন ৪র্থ শ্রনীর কর্মচারীদের কাছ থেকে ঘুষ আদায় করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। আর এসব কর্মকাণ্ড করে জোনাল সেটেলমেন্ট পেশকার নজরুল ইসলাম ও আমিনুল হয়েছেন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। তাদের নিজের ও পরিবারের নামে বে-নামে রয়েছে বিশাল ভূ-সম্পত্তি । নজরুলের গ্রামের বাড়ি দাকোপে ও খুলনা শহরের টুটপাড়া ও গল্লামারী দড়গা রোডে কোটি টাকার সম্পদ এবং ব্যাংকে রয়েছে কালোটাকার পাহার । নজরুল পাইকগাছা ও ডুমুরিয়ায় থাকাকালীন সেখানের অনিয়ম তদন্ত করলেই বেড়িয়ে যাবে তার দুর্নিতির পরিসংক্ষান । একই অবস্থা অফিস সহকারী আমিনুল ইসলামের । তার দেশের বাড়ি কুষ্টিয়ায় নামে বেনামে প্রচুর ভূ-সম্পত্তি পাশা পাশী যশোর শহরে রয়েছে কয়েকটি আলিশান বাড়ি ।

খৃলনা জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের এ দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন খুলনা জোনের বিভিন্ন উপজেলার ভূমি মালিকরা।
শুধু নজরুল,আমিনুল নয়, প্রতিনিয়ত এ অসাধু কর্মকর্তাদের রোষানলের শিকার হতে হয় প্রকৃত জমির মালিকদের। সরকারি নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করে নিজেদের পকেট ভারী করতে সবসময় ব্যস্ত থাকে অসাধু চক্রটি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সেটেলমেন্ট অফিসে উৎকোচ হোতা ওই দুই অসাধু কর্মকর্তা ৩০ ধারায় একটি মামলায় ২০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ভূক্তভোগীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে। ফলে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন এ অঞ্চলের ভূমি মালিকগন । এ ব্যাপারে কথা হয় পেশকার নজরুলের সাথে ,তিনি বলেন আমি যে সম্পদ গড়েছি তা আমার শশুর বাড়ি থেকে দিয়েছে । আপনার স্ত্রী একজন গৃহিনী হয়ে কি ভাবে এত সম্পদের মালিক হয়েছেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি লাইনটি কেটে দেন ।