প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ অনুদানে খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির নবনির্মিত ৬ তলা বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু ভবনের লিফ্ট নিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে ২১ লাখ ৪২ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বারের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক বিজন কৃষ্ণ মন্ডল বাদী হয়ে সদর থানায় দন্ডবিধির ৪০৬ ও ৪২০ধারায় মামলা দায়ের করেছেন (নং-১১)। অভিযুক্ত সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সিমিলার ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজির পরিচালক মোঃ খলিলুর রহমান ফারুক (৩৪) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে মহানগর হাকিম আদালতে সোপর্দ করা হলে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
গত ৮ ফেব্র“য়ারি জেলা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জিপি বিজন কৃষ্ণ মন্ডলের দায়ের করা ওই মামলার সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ অনুদানে খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির নবনির্মিত ৬ তলা বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু ভবনের লিফ্ট ক্রয়ের বিষয়ে ২০১৭ সালের ২ মে একটি চুক্তি হয়। জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ কক্ষে এড. প্রশান্ত কুমার গাইন, এড. জি এম মাসুদ করিম, এড. ফাল্গুনী ইয়াসমিনের উপস্থিতিতে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সিমিলার ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজির পরিচালক মোঃ খলিলুর রহমান ফারুক’র সাথে ওই চুক্তি হয়। এ সময় ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকায় ফারুক একটি অঙ্গিকার নামায় নবনির্মিত এই ভবনের জন্য ফুজি অরজিনাল চায়না-জাপান টেকনোলজির ইনটেক একসেট লিফ্ট সরবরাহের চুক্তি করেন। এরপর ৩ মে থেকে গত ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত লিফ্ট সরবরাহের আনুসাঙ্গিক খরচ বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে খুলনা তৎকালীন জেলা আইনজীবী সমিতির কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মানি রিসিটের মাধ্যমে ২১ লাখ ৪২ হাজার টাকা গ্রহণ করেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক। কিন্তু টাকা নেয়ার পর থেকে ফারুক নানাভাবে তালবাহানা শুরু করেন। যথাসময়ে বারের ভবনের ওই লিফ্ট সরবরাহ না করে প্রতারণা শুরু করেন। এক পর্যায়ে তাকে চাপ দিতে থাকলে সে লোকাল বাজারের একটি লিফ্ট জেলা আইনজীবী সমিতির ভবনের জন্য হস্তান্তর করেন। প্রথমে বিষয়টি আঁচ করতে না পারলেও পরবর্তিতে অভিজ্ঞদের নজরে আসে বিষয়টি। এরপর সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সিমিলার ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজির পরিচালক মোঃ খলিলুর রহমান ফারুককে বিষয়টি জাানলে তিনি লিফ্ট ফেরত নেয়ার কথা স্বীকার করেন। কিন্তু বারের নেতৃবৃন্দকে নানাভাবে হয়রানি ও প্রতারণা করতে থাকে। এক পর্যায়ে গত ৮ ফেব্র“য়ারি এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
