খুলনা জেলা ও নগর আ’লীগের নেতৃত্বে পরিবর্তনের আভাস!

0
678

ইয়াছিন আরাফাত:
খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ এর সম্মেলনকে ঘিরে দলীয় কার্যালয়ে সরব নেতাকর্মীরা। মিটিং-মিছিল-স্লোগানে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে তাদের মাঝে। তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুনে শহরজুড়ে সাজ সাজ রব। দফায় দফায় বৈঠক, মঞ্চস্থল পরিদর্শন ও কাউন্সিলর-ডেলিগেটদের পরিচয়পত্র তৈরীসহ নানান কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন সম্মেলন উপ-কমিটির নেতারা। অনুরূপ তদারকিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন জেলা ও নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি। তবে সবকিছু ছাপিয়ে আলোচনায় রয়েছে কারা আসছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্বে? পাশাপাশি শীর্ষ নেতৃত্বে পরিবর্তনের আভাসও মিলছে। যদিও সবাই একযোগে এনিয়ে বলেছেন, দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, দলের জেলা ও মহানগর শাখার সভাপতি পদে প্রবীণ দুই রাজনীতিক শেখ হারুনুর রশীদ ও তালুকদার আব্দুল খালেক স্বপদে বহাল থাকবেন। এক্ষেত্রে এখনও বিকল্প তৈরি হয়নি, শহরজুড়ে এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
এরমধ্যে শেখ হারুনুর রশীদ ১৯৯২ সাল হতে অদ্যবধি চারবার সভাপতি নির্বাচিত হন।
অপর এক সূত্র জোর দাবি করে খুলনাটাইমসকে বলেন, নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী আমিনুল হক, সাবেক মৎস ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের তিন সহ-সভাপতি এড. এমএম মুজিবুর রহমান, কাজী বাদশা মিয়া ও এড. সোহরাব আলী সানা জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পদে আসতে পারেন।
এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতার দৌড়ে নেমেছেন বর্তমান জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এড. সুজিত অধিকারী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান জামাল ও আক্তারুজ্জামান বাবু এমপি, বটিয়াঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান খান আশরাফুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা অসিত বরণ বিশ্বাস, এসএম ম্স্তোফা রশিদী দারা।
অপরদিকে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান স্বপদে বহাল থাকছেন এমনটাই শোনা যাচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় আছেন কতিপয় প্রার্থী। দলের নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার গ্রীণ সিগনাল পেলে শেখ পরিবারের একজন সদস্য নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদের অন্য প্রার্থীরা হলেন, নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আশরাফুল ইসলাম, দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ সৈয়দ আলী, সদর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি এড. মোঃ সাইফুল ইসলাম, মহানগর যুবলীগের সদ্য সাবেক সভাপতি এড. আনিসুর রহমান পপলু।
নগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মুহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, দলের নেতৃত্ব বাছাই করবেন সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দলের সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যদের নির্দেশ দিয়েই খুলনায় পাঠাবেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে শেখ হারুনুর রশীদকে সভাপতি ও এসএম মোস্তফা রশিদী সুজা সাধারণ সম্পাদক নির্বাতি হন। এর ৯ মাস পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৮ সালের ১৮ জুলাই মোস্তফা রশিদী সুজা চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।
২০১৪ সালের ২৯ নভেম্বর নগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে তালুকদার আব্দুল খালেক সভাপতি ও মিজানুর রহমান মিজান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়। ২০১৬ সালের ৪ সেপ্টেম্বর নগর পূর্ণাঙ্গ অনুমোদন মেলে। এর আগে ২০০৪ সালের ১৫ জানুয়ারি নগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে খালেক সভাপতি ও মিজান সম্পাদক সম্পাদক নির্বাচিত হয়।