খুলনা ও সাতক্ষীরার ১১ পেঁয়াজ ব্যবসায়ীকে কাল ঢাকায় তলব

0
286

নিজস্ব প্রতিবেদক:
গত চারমাস ধরে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করার জন্য কাস্টমস কতৃপক্ষ খুলনা ও সাতক্ষীরার ১১ ব্যবসায়ীকে চিহ্নিত করেছে। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর আগামীকাল সোমবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের ঢাকায় তলব করেছে। এ সময়ে তাদেরকে গত তিন মাসে আমদানী ও বিক্রি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আনতে বলা হয়েছে। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে তারা বড় অংকের টাকা মুনাফা লুটেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র উল্লেখ করেন, গত আগষ্টে দক্ষিণ অঞ্চলের নওয়াপাড়া, খুলনার কদমতলা, ট্রাক টার্মিনাল, পিরোজপুর, চুকনগর ও কপিলমুনি মোকামে প্রতি কেজি পেঁয়াজ প্রকারভেদে ৪০-৪৫ টাকা দরে বিক্রি হয়। অক্টোবর থেকে পেঁয়াজের মূল্য বাড়তে থাকে। সর্বশেষ গত ১৮ নভেম্বর এ অঞ্চলে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ২৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়। এতে বড় অংকের টাকা মুানাফা লুটেছে ১১ সদস্যের পেঁয়াজ সিন্ডিকেট। মজুদদারদের কাছে কাস্টমস মহাপরিচালকের দপ্তর থেকে সিন্ডিকেটের সদস্যদের কাছে নোটিশ পাঠিয়েছে। এতে বলা হয়েছে প্রাথমিকভাবে তদন্তে খুলনা অঞ্চলের ১১ সদস্যের নাম পাওয়া গেছে। প্রমাণীত হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ অঞ্চলের অতি মুনাফাখোর যেসব পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের কাছে কাস্টমসের নোটিশ এসেছে তারা হচ্ছেন খুলনা নগরীর দৌলতপুরের শাহ ভান্ডার, সাতক্ষীলা জেলা সদরের কামাল নগর এলাকার ফারাহ ইন্টারন্যাশনাল, ভোমরা শুল্ক স্টেশন এলাকার মেসার্স সোহা এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স মরিয়ম এন্টারপ্রাইজ, নুর এন্টারপ্রাইজ, শামীম এন্টারপ্রাইজ, বিএ এন্টারপ্রাইজ, আরডি এন্টারপ্রাইজ, মুক্তা এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স সাইফুল এন্টারপ্রাইজ ও সুপ্তি এন্টারপ্রাইজ। সংশ্লিষ্ট কাস্টমস কর্মকর্তারা বলেছেন, সিন্ডিকেটের সদস্যরা গুদামে পেঁয়াজ পঁচে গেলেও বাজারে ছাড়েনি। সাধারণ মানুষকে কষ্ট দেয়ার এবং সরকারকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করে। অতি মুনাফার লোভে তারা পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে। প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত পেঁয়াজ সিন্ডিকেটের ১১ সদস্যকে আগামীকাল সোমবার ঢাকা কাস্টমসে তলব করা হয়েছে। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারিদের কাছে নোটিশ পাঠিয়েছি। কাল থেকে পর্যায়ক্রমে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হবে।
টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রি শুরুঃ
টিসিবির খুলনাস্থ প্রধান নির্বাহী মোঃ রবিউল মোর্শেদ জানান, শুক্রবার ছুটির দিন বাদে বৃহষ্পতিবার ও শনিবার নগরীর ৫টি পয়েন্টে ট্রাকযোগে কেজি প্রতি ৪৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয়েছে। মাথাপিছু এক কেজি করে বিক্রি করা হচ্ছে। গত দু’দিনে ১০ হাজার কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করা হয়। নগরীর পয়েন্টগুলো হচ্ছে, টুটপাড়া কবরখানা মোড়, এসপি অফিসের মোড়, ময়লাপোতা, নিউমার্কেট ও খালিশপুর। বাজারমূল্য সহনশীল না হওয়া পর্যন্ত টিসিবির বিক্রি অব্যাহত থাকবে।
জেলা বাজার কর্মকর্তা আব্দুস সালাম তরফদার জেলা প্রশাসনকে জানান, গত ১৭ নভেম্বর দেশি পেঁয়াজ ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা দরে এবং বিদেশী পেঁয়াজ ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়।