খুলনায় ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ তদন্ত কমিটির

0
372

টাইমস প্রতিবেদন :
খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার বাইনতলা পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যদের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে ইভটিজিং এবং এর প্রতিবাদ করায় তার ভাইকে মারধরের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। এ ঘটনায় জড়িত থাকায় পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি।

অভিযুক্ত ওই ৫ পুলিশ সদস্য হলেন- বাইনতলা পুলিশ ক্যাম্পের নায়েক জাহিদ, কনস্টেবল নাইম, মামুন, রিয়াজ ও আবির। ঘটনার পরপরই তাদের জেলা পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়।

তদন্ত কমিটির প্রধান এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি সার্কেল) মো. সজীব খান জানান, কমিটির সদস্যরা বৃহস্পতিবার বাইনতলা পুলিশ ক্যাম্প এলাকায় যান। তারা ইভটিজিংয়ের শিকার ছাত্রী, মারপিটে আহত তার ভাই তারিকুল ইসলাম এবং তাদের বাবা মুজিবর রহমান, আমীরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গোলদার মিলনসহ স্থানীয় ৩০ থেকে ৩৫জনের সঙ্গে কথা বলেন। এ ছাড়া তারা অভিযুক্তদেরও বক্তব্য শোনেন।

তিনি জানান, সার্বিক বিষয়ে তদন্ত শেষে স্কুলছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করা এবং যুবককে মারধরের প্রমাণ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ সুপারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত ৯ জানুয়ারি সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বটিয়াঘাটা উপজেলার বাইনতলা-খারাবাদ কলেজিয়েট স্কুলে যাওয়ার পথে কনস্টেবল নাঈম দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ইভটিজিং করেন। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর ভাই তরিকুল প্রতিবাদ জানালে পুলিশ কনস্টেবল নাঈম তাকে ফাঁড়িতে ধরে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন করে আটকে রাখে। এ খবর পেয়ে স্থানীয় গ্রামবাসী ফাঁড়িতে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধস্তাাধস্তি হয়। এ সময় উত্তেজিত জনতা ফাঁড়ি ঘেরাও করে রাখে।

খবর পেয়ে বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক মামুন ও স্থানীয় আমীরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গোলদার মিলন সেখানে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত ৫ পুলিশ কনস্টেবল নাঈম, মামুন, রিয়াজ, আবির ও নায়েব জাহিদকে ক্লোজড করেন।

ওই ঘটনায় পুলিশ সুপারের নির্দেশে গত ১০ জানুয়ারি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সজীব খানকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন, এএসপি হেডকোয়ার্টার ওয়াসি ফিরোজ ও বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক মামুন।