খুলনায় ৫৭ ধারার মামলা প্রত্যাহারের দাবি সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের : প্রতিবাদ সমাবেশ বুধবার

0
456

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনাটাইমস:
খুলনা প্রেসক্লাবের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও দৈনিক সময়ের খবর’র নির্বাহী সম্পাদক কাজী মোতাহার রহমান বাবু ও নিজস্ব প্রতিবেদক সোহাগ দেওয়ানের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় দায়েরকৃত হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদল। বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে), বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খুবি’র বন্ধন উক্ত দাবিতে বিবৃতি দিয়েছে।

একই সাথে বিবৃতিতে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ দাবি তোলেন, অবিলম্বে সাংবাদিক সোহাগ দেওয়ানকে দেখে নেবার হুমকিদাতা সিআইডি’র সেই তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের। এর আগে খুলনা প্রেসক্লাব ও মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন (এমইউজে) নেতৃবৃন্দ অনুরুপ দাবি জানিয়ে পৃথক বিবৃতি প্রদান করেন। এদিকে আগামী বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) খুলনা প্রেসক্লাব প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছে। আর এরমধ্যে দাবি না মানা হলে সমাবেশ থেকে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হবে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (১ ফ্রেব্রুয়ারি) খুলনা প্রেসক্লাবে উল্লেখিত বিষয়ে এক জরুরী সভা করেন খুলনা সাংবাদিক সংগঠনগুলোর নেতারা। সভায় সকলে একমত পোষণ করেন ৫৭ ধারায় দায়ের করা মামলা বাতিলের দাবিতে স্বোচ্চার হওয়ার, তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার।

খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে) : সংগঠনের সভাপতি এসএম জাহিদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহ আলম এক বিবৃতিতে সিনিয়র সাংবাদিক কাজী মোতাহার রহমান ও সোহাগ দেওয়ানের বিরুদ্ধে হয়ারিমূলকভাবে দায়েরকৃত ৫৭ ও ৬৬ ধারার মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, খুলনার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তার দায়ের করা এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রভাবিত করে সাংবাদিককে হুমকি দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ। ৫৭ ও ৬৬ ধারার মামলায় দেশের অধিকাংশ স্থানে সাংবাদিকসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের হয়রানির কারনে সরকার এধারা বিলুপ্ত করেছেন। হয়রানিমূলক এ মামলা প্রত্যাহার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে নেতৃবৃন্দ হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

অনুরুপ বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) যুগ্ম-মহাসচিব মোজাম্মেল হক হাওলাদার, নির্বাহী সদস্য গৌরাঙ্গ নন্দী ও আসাদুজ্জামান রিয়াজ।

বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা : সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় কো-অর্ডিনেটর এড. মোমিনুল ইসলাম বিবৃতিতে বলেন, হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে সাংবাদিকদের সত্য লেখনির পথ রুদ্ধ করার অপচেষ্টা চলছে। সাংবাদিক কাজী মোতাহার রহমান বাবু ও সোহাগ দেওয়ানের বিরুদ্ধে ৫৭ধারায় দায়েরকৃত হয়রানিমুলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ : সংগঠনের খুলনা মহানগরের নেতৃবৃন্দ এক যুক্ত বিবৃতিতে সাংবাদিক কাজী মোতাহার রহমান ও সোহাগ দেওয়ানের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলকভাবে ৫৭ ও ৬৬ ধারার মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। খুলনা চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তার দায়ের করা এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রভাবিত করে সাংবাদিককে হুমকি দেয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ৫৭ ও ৬৬ ধারার মামলায় দেশের অধিকাংশ স্থানে সাংবাদিকসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের হয়রানির কারনে সরকার এ ধারা সম্প্রতি বিলুপ্ত করেছেন। হয়রানিমূলক এ মামলা প্রত্যাহার করার জন্য নেতৃবৃন্দ জোর দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিদাতারা হলেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মহানগর সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক, মাওলানা মোজাফ্ফার হোসাইন, শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন, মুফতী আমানুল্লাহ, মাওঃ ইমরান হোসেন, জিএম সজিব মোল্লা, মোঃ তরিকুল ইসলাম কাবির, মোঃ আবু গালিব, আব্দুর রশীদ, মোঃ রবিউল ইসলাম তুষার, ডাঃ আল আমিন এহসান, জিএম কিবরিয়া, মাওলানা দ্বীন ইসলাম, মোঃ হযরত আলী, মাওলানা আব্বাস আমিন, এ্যাড. মোঃ কামাল, মুফতী আব্দুর রহমান মিয়াজী, মুফতী রবিউল ইসলাম রাফে, আলহাজ্ব আবু তাহের ও মুফতী মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে’র বন্ধন : সাংবাদিক কাজী মোতাহার রহমান ও সোহাগ দেওয়ানের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারার মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে খুবি’র বন্ধন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সাংবাদিকরা সমাজ ও দেশের তথা জাতির বিবেক। নিজেদের জীবনবাজী রেখে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রভাবিত করে সাংবাদিকদের হুমকি দেয়া হচ্ছে। এঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিদাতারা হলেন- বন্ধন’র সভাপতি আব্দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মোহাম্মদ আলী, জিএম আনিসুর রহমান, কাজী মোঃ আবু খালিদ, মোঃ আতিয়ার রহমান, আব্দুর রহমান (অহি), মোঃ সোহাগ মোল্লা, মোঃ রবিউল ইসলাম, মোঃ সফিকুল ইসলাম শফিক, এসএম জাকির হোসেন, আলমগীর হাবিব সাগর, মোঃ নাসির জাহাঙ্গীর, সালেহা পারভেজ, মোঃ জসিম উদ্দিন ও মোঃ হারুনর রশিদ প্রমুখ।