খুলনায় ১০টাকা কেজির চাল বিক্রি শুরু হয়েছে

0
556

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনাটাইমস:
খোলাবাজারে চালের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে মার্চের প্রথম সপ্তাহে খুলনার ৬৮টি ইউনিয়নে ১০ টাকা কেজি মূল্যের চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। জেলার ৮৩ হাজার ৯শ’ ৪৪ হতদরিদ্র পরিবার এই সুবিধা পাবে। এ ব্যাপারে হতদরিদ্র পরিবারের তালিকা ডিলারদেও হাতে পৌছানো হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে হাটবাজারে মোটা চাল প্রতি কেজি ৩৯-৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মজুদ না থাকায় গেল নভেম্বরে জেলায় ১০ টাকা কেজির চাল সরবরাহ সম্ভব হয়নি।
আমন মৌসুম শেষ হয়েছে জানুয়ারির শেষ দিকে। বৃষ্টির কারণে জেলায় কাংখিত আমন উৎপাদন হয়নি। ফলে মোটা চাল ৪২-৪৪ টাকা দরে বিক্রি হয়। ভোমরা শুল্ক ষ্টেশন দিয়ে ভারতীয় চাল আসার পরেও মূল্য কমেনি। আমন মৌসুম শেষ হওয়ার পর গ্রামাঞ্চলে কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই। বোরো চাষাবাদ শেষ হয়েছে। হতদরিদ্র পরিবারের মানুষ কর্মসংস্থানের জন্য সাময়িক সময় বঙ্গ্পোসাগরের তীরে দুবলার চরে শুটকি পল্লীতে যায়। শুটকি মৌসুমও শেষ হয়েছে। হতদরিদ্র পরিবারকে অন্য কষ্ট থেকে বাঁচাতে খাদ্য বিভাগ মার্চের প্রথম সপ্তাহে ১০টাকা মূল্যে চাল বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যেই ডিলার নিয়োগ চূড়ান্ত হয়েছে। নিয়োগকৃত ডিলারের মধ্যে দাকোপ উপজেলায় ২৭ জন, ডুমুরিয়া উপজেলায় ১৯ জন, পাইকগাছায় ২৫ জন, তেরখাদায় ৯১ জন, বটিয়াঘাটা উপজেলায় ২৩ জন, ফুলতলায় ১০ জন, কয়রায় ২১ জন, রূপসায় ২০ জন এবং দিঘলিয়া উপজেলায় ২৭জন।
খাদ্য বিভাগের সূত্রমতে, মহেশ্বরপাশা, খুলনা কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদামসহ আটটি উপজেলা পর্যায়ে এলএসডিতে ৮৭ হাজার ৩৬৭ মেট্রিক টন চাল ও ৫৯ হাজার মেট্রিক টন গম মজুদ রয়েছে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো: কামাল হোসেন জানান, মার্চের প্রথম সপ্তাহে হতদরিদ্র পরিবারের মধ্যে সিদ্ধ চাল বিক্রি শুরু হবে। প্রথম মাসে ২ হাজার ৫২০ টন চাল বিক্রি করা হবে। এপ্রিল পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে। ওজনে কম এবং কালো বাজারে বিক্রি প্রমাণিত হলে সেসব ডিলারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এর কার্যালয়ের সূত্র জানান, মঙ্গলবার স্থানীয় হাট-বাজারে মোটা চাল কেজি প্রতি ৩৯-৪০ টাকা, মাঝারী ৪৫-৪৬ টাকা, চিকন ৫৯-৬০ টাকা, আতপ চাল ৩৬-৩৭ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।#