খুলনায় সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ১১ জন

0
1637

আজিজুর রহমান, খুলনাটাইমস :
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতে শুরু হয়েছে সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচনের তোড়জোড়। জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী-১১ আসনে (খুলনা-বাগেরহাট) কে হচ্ছেন প্রার্থী তা নিয়ে দলীয় শিবিরে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। মনোনয়নপ্রত্যাশী ১১ জন নেত্রী দলীয় মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে জোর লবিং শুরু করেছেন। তবে শেষ হাসিটা কে হাসবেন তা নির্ভর করছে দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর।

সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী হতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই আসনে অন্তত ১১ নারী নেত্রী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। তারা হলেন সাবেক সাংসদ হেপী বড়াল, যুব মহিলা আ’লীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আফসানা ফেরদৌস কেকা, কেন্দ্রীয় নেত্রী আফসানা হাসান ডেইজী, আ’লীগের আইনবিষয়ক উপকমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, নগর আ’লীগের সদস্য সুলতানা রহমান শিল্পী, মহানগর মহিলা আ’লীগের সভানেত্রী অধ্যাপিকা হোসনে আরা রুনু, মহানগর আ’লীগের মহিলা সম্পাদিকা এ্যাড.অলোকা নন্দা দাশ, ফরিদা আক্তার বানু লুসী, জেলা আওয়ামী লীগের নেত্রী অধ্যক্ষ দেলোয়ারা বেগম, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর অধ্যাপিকা রুনু বিথার ও কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট মেমোরি সুফিয়া রহমান শুনু।

ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতারা জানান, এবারের সংরক্ষিত আসনে চমক থাকতে পারে। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য এবং দূর্নীতিমুক্ত ক্লিন ইমেজের প্রার্থীকে প্রাধান্য দিতে পারে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী। দলীয় একটি বিশ্বস্ত সুত্র জানায়, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কেসিসি ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শহীদ ইকবাল বিথারের স্ত্রী অধ্যাপিকা রুনু বিথারকে সংরক্ষিত নারী আসনে সাংসদ হিসেবে মনোনীত করতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কাছে স্থানীয় আ’লীগের শীর্ষ মহল থেকে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন সুত্রমতে, সংসদ নির্বাচনের ভোটের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেক্ষেত্রে আগামী পহেলা এপ্রিলের মধ্যে এ নির্বাচন সম্পন্ন হবে।

আফসানা ফেরদৌস কেকা মুঠোফোনে বলেন, সংরক্ষিত আসনের জন্য মনোনয়নপত্র কিনেছি। আশাকরি দল আমাকে মূল্যায়ন করে দলীয় মনোনয়ন দিবেন। তিনি বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ১৯৯১ সালে বয়রা সরকারি মহিলা কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জিএস নির্বাচিত হই। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর আহবানে যুব মহিলা লীগ গঠনে যশোর, কুষ্টিয়া, নড়াইল ও বাগেরহাটসহ বিভিন্ন জেলায় সফর করে যুব সংগঠন দাঁড় করাতে ভূমিকা পালন করে থাকি।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার। তিনি শক্রবার সন্ধ্যায় খুলনাটাইমসকে বলেন, সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমাও দিয়েছিলাম। তবে দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শেষ পর্যন্ত নির্বাচন থেকে সরে আসি। তিনি আরও বলেন, মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের আগে থেকেই দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী মাঠে কাজ করছি। আশা করি জননেত্রী এবার আমাকে দলীয় মনোনয়ন দেবেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সাংঠনিক সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান জামাল বলেন, এবারের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিশাল বিজয়ের কারণে দলীয় নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত। এ কারণে সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনেও মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা অনেকটাই বেশি। তিনি আরও বলেন, সারা দেশের ন্যায় পিছিয়ে নেই খুলনার নারী নেত্রীরাও। দলের অনেকেই প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী কার্যক্রমে নেমেছেন। তবে আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে যারা সামনে ছিলেন এমন ব্যক্তিদের প্রাধান্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রার্থী নির্বাচিত করবেন।

খুলনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থী নির্বাচনের বিষয়ে খুলনাটাইমসকে বলেন, দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী যাকে যোগ্য মনে করেন তিনিই হবেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য।