খুলনায় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

0
371

তথ্যবিবরণী
খুলনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০১৮ পালিত। দিবসটি উপলক্ষে খুলনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পালিত হয় বিভিন্ন কর্মসূচি।

একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ হাদিস পার্কে শহীদ মিনারে খুলনা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, তালুকদার আব্দুল খালেক এমপি, মুহাম্মদ মিজানুর রহমান এমপি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও কেএমপি কমিশনার, সিটি কর্পোরেশন, জেলা প্রশাসন, চেম্বার অব কমার্স, খুলনা প্রেসক্লাবসহ পেশাজীবী সংগঠন এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সাহিত্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনার মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির শুভ সূচনা করেন।
সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধাসরকারি,স্বায়িত্বশাষিত প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ভবন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। ভোর হতেই প্রভাতফেরী সহযোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অন্যান্য সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে।

সকালে নগরভবনে সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
বাদ জোহর কালেক্টরেট জামে মসজিদসহ সকল মসজিদে শহীদদের রূহের মাগফিরাত ও দেশের কল্যাণ, শাšিত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া মন্দির, গীর্জা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে অনুরূপ বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
বিকেলে এ উপলক্ষে বয়রাস্থ বিভাগীয় গণগ্রন্থাগার চত্বরে খুলনা জেলা প্রশাসন অয়োজিত আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, এ্যাডভোকেট এনায়েত আলী ও মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আলমগীর কবীর। খুলনা জেলা প্রশাসক মো: আমিন উল আহসান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সকালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা, শিক্ষক সমাবেশ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনে রচনা প্রতিযোগিতা, আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। শহীদ হাদিস পার্ক এবং জাতিসংঘ পার্কে সন্ধ্যায় খুলনা জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে ভ্রাম্যমান চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে স্থানীয় দৈনিক পত্রিকাগুলো বিশেষ নিবন্ধ ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে। বাংলাদেশ বেতার খুলনা দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করে। উপজেলা পর্যায়েও অনুরূপ কর্মসূচি পালিত হয়।#