খুলনায় যুবলীগ নেতা বিথার হত্যা মামলায় ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

0
1381

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রায় ১০ বছর পর যুবলীগের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও কেসিসির ২৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহীদ ইকবাল বিথার হত্যা মামলার চার্জ গঠন করেছে খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত। বৃহস্পতিবার মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আনিসুর রহমান পপলুসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
মামলায় অভিযুক্ত অন্য আসামিরা হলেন-জীবন ওরফে শবে কাদির, লিয়াকত আলী শিকদার, মনিরুজ্জামান মাসুদ ওরফে তোতা মাসুদ, একরাম হোসেন ওরফে সিয়াম ওরফে আকাশ এবং সুমন হোসেন ওরফে রাজু।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ১১ জুলাই রাতে মহানগরীর মুসলমান পাড়ার মেট্রোপলিটন ক্লিনিকের সামনে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন শহীদ ইকবাল বিথার। এ ঘটনায় তার শ্যালক রফিউদ্দিন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে ১২ জুলাই সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলাটি প্রথমে খুলনা সদর থানা পুলিশ এরপর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করে। একপর্যায়ে মামলাটি ২০১০ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং সেলের পর্যবেক্ষণ সেলে যায়।
হত্যাকাণ্ডের ৪ বছর ৩ মাস পর ২০১৩ সালের ১০ অক্টোবর খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা এস এম মেজবাহ হোসেন বুরুজ, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান পপলুসহ নয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
কিন্তু অভিযোগপত্রটি গ্রহণ না করে অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মিজানুর রহমান মিজান। ওই বছরের ১ আগস্ট সিআইডির সম্পূরক চার্জশিটে মিজান ও যুবলীগ নেতা বুরুজের নাম বাদ দেওয়া হয়। এর বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করেন মামলার বাদী। আদালত এই আদেশ খারিজ করে দিলে বাদীপক্ষ উচ্চ আদালতে আবেদন করেন। সেই থেকে বার বার চার্জগঠনের দিন পাল্টানো হচ্ছে।
খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর কাজী সাব্বির আহমেদ বলেন, গত সপ্তাহে বাদীপক্ষ উচ্চ আদালতে তাদের রিভিউ আবেদন তুলে নেওয়ার কথা জানান। বৃহস্পতিবার আসামি আনিসুর রহমান পপলুর পক্ষে চার্জগঠন থেকে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন করেন তার আইনজীবী। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আসামির আবেদন নাকচ করে দেন এবং জীবিত ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
তিনি জানান, সর্বশেষ চার্জশিটে এই মামলার আসামি ছিলেন সাতজন। এর মধ্যে মাসুদ রানা নামের একজনকে ২০১৪ সালের ৩০ অক্টোবর কুপিয়ে হত্যা করা হয়। বাকি ছয়জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করা হয়েছে। আগামী ১৫ এপ্রিল সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত। ওইদিন ১-১০ নম্বর সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে।