খুলনায় যুবক’র বিক্রিত জমির দলিল স্থগিত

0
783

টাইমস প্রতিবেদক:
খুলনায় যুবক হাউজিংয়ের বিক্রিত ১০ কাঠা জমির দলিল স্থগিত করেছে যুগ্ম জেলা জজ আদালতের বিচারক। ভুক্তভোগীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৪৭৮১/১৭ নং কবলা দলিলের কার্যক্রম স্থগিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য খুলনা সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর আগে সারাদেশে যুবকের জমি বিক্রয়ের উপর আদালত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলো। কিন্তু আদালতের নির্দেশনা না মেনে গোপনে ১০ কাঠা জমি বিক্রি করা হয়।
সূত্র জানায়, আদালতের স্থগিতাদেশ থাকায় গোপনে গত ১৫ সেপ্টেম্বর যুবকের ২৪ জন গ্রাহকের নামে নগরীর কমার্স কলেজের পাশে ২০ কাঠা জমির মধ্যে ১০ কাঠা জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়া হয়। যার নেপথ্যের নায়ক যুবকের বর্তমান চেয়ারম্যান হোসাইন আল মাসুম। এ ঘটনায় জড়িত রয়েছে স¤প্রতি বদলি হওয়া খুলনা সদর সাব রেজিস্ট্রার মো: মিজানুর রহমান ও তার সহযোগী ফারুক, রওশন ও দলিল লেখক মনিরুল ইসলাম।
অভিযোগ রয়েছে, একটি মামলায় কারাগারে ছিলেন যুবকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লোকমান হোসেন। তিনি জেল থেকে বের হওয়ার পর রাজ্জাক মোল্যার সহযোগিতায় জমি বিক্রির চেষ্টা করেন। এসময় সদর সাব রেজিস্ট্রার বদলি হয়ে গেলে রেজিস্ট্রির কাজ ঢাকায় বসে সম্পন্ন করা হয়। দলিলে সাক্ষী হিসেবে যার নাম ব্যবহার করা হয় সেটিও ভুয়া বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে যুবকের প্রতারিত গ্রাহকদের আইনজীবী শহিদুল ইসলাম জানান, একটি মামলায় ২০১৫ সালের ১২ ফেব্রæয়ারি আদালত ওই জমি ক্রোকের আদেশ দেন। জমি বিক্রির দলিল আদালতে পেশ করা হলে আদালত উক্ত দলিল বাতিল করেন এবং সহকারী কমিশনারকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
উলে¬খ্য, ১৯৯৬ সাল থেকে প্রতারণার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে ঠঁকিয়ে তাদের সর্বশান্ত করে হাতিয়ে নিয়েছিলো সব টাকা। ২০০৬ সালের ২৪ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞার ফলে যুবক বন্ধ হয়ে যায়। যুবকের কাছে সাধারণ গ্রাহকদের পাওনা রয়েছে ৬২৮ কোটি টাকারও বেশি। গ্রাহকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১০ সালের ২৬ মে সরকার সারাদেশে যুবকের সম্পত্তি ক্রয় বিক্রয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তবে বর্তমানে তাদের কর্তারা গ্রাহকদের বিভিন্ন প্রতারণা মামলার আসামী।#