খুলনায় মাদ্রাসাছাত্র হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদন্ড, খালাস-২

0
268

খুলনাটাইমস প্রতিবেদক:
খুলনার রূপসা উপজেলার মাদ্রাসাছাত্র মুসা শিকদার (১৬) হত্যা মামলার রায়ে ৪ জনের মৃত্যুদÐাদেশ প্রদান করেছেন আদালত। বুধবার দুপুরে খুলনার সিনিয়র দায়রা জজ মো: মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন। একই সাথে মামলায় ২ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মৃত্যুদÐপ্রাপ্তরা হলেন- রূপসার আলাইপুরের বনি আমিন শিকদার (২০), রাহিম শেখ (২১), রাজু শিকদার (২০) ও নুহু শেখ (২৭)। খালাস পেয়েছেন সিরাজ শিকদার (৫২) ও জসিম শিকদার (৫৯) ও নজু শেখ। মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত আসামীদের গলায় ফাঁসি দ্বারা ঝুলিয়ে রাখতে আদেশ দেয়া হয়েছে।
জেলা পিপি এ্যাড. এনামুল হক জানান, রায়ে ৩০২/৩৪ ধারায় মৃত্যুদÐপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি বনি আমিন শিকদার, রাহিম শেখ, রাজু শিকদার ও নুহু শেখকে ৩৬৪/৩৪ ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদÐ ও প্রত্যেকে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদÐ, অনাদায়ে প্রত্যেককে ১ বছর করে সশ্রম কারাদÐাদেশ দেয়া হয়। এ মামলার দায় থেকে খালাস পেয়েছেন জসিম শিকদার (৫৯) ও সিরাজ শিকদার (৫২)। এই হত্যা মামলায় ছয় আসামীর সকলেই কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। ৬ আসামীর মধ্যে ৪ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিল।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় রূপসা থানার আঠারোবেকি নদীতে রাজাপুর গ্রামের রূপসা থানার আলিপুর গ্রামের মুদি দোকানদার ও মাদ্রাসা ছাত্র মুসা শিকদারের লাশ পাওয়া যায়। মুদি দোকানে বাকি খাওয়া ও গুলতি মারা নিয়ে প্রতিপক্ষের সাথে একদিন আগে বিরোধ হয়েছিল। এ বিরোধ ও মারামারি জের ধরে এ হত্যাকাÐ সংঘটিত হয়। এরপর ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর আদালতে হত্যার অভিযোগ দায়ের করেন মুসার পিতা মোস্তাকিম শিকদার। মামলায় ৪ জনের নাম দেয়া হয়। এরা হলেন, বনি আমিন শিকদার, রাহিম শেখ, নুহু শেখ ও রাজু শিকদার। আদালতের বিচারক এ মামলাটি তদন্ত করে নথিভুক্ত করার জন্য রূপসা থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। এরপর ২০১৯ সালের ১৫ জানুয়ারী থানায় মামলাটি নথিভুক্ত হয় (রূপসা থানার মামলা নং ১২, তারিখ ১৫/০১/২০১৯)। মামলাটি তদন্তের জন্য জেলা ডিবিতে হস্তান্তর হয়। জেলা ডিবির এস আই মুক্ত রায় চৌধুরী মামলাটি তদন্ত করেন। তিনি ২০১৯ সালের ৩০ মে আদালতে ৬ জনের নামে চার্জশিট দাখিল করেন। এজাহারভুক্ত ৪ জনের সাথে নতুন যুক্ত হওয়া ২ জন হলেন জসিম শিকদার ও সিরাজ শিকদার। আসামীরা সকলেই আলাইপুরের বাসিন্দা। ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয় জেলা জজ আদালতে। বিচারক খুলনার সিনিয়র দায়রা জজ মোঃ মশিউর রহমান চৌধুরী এ মামলার শুনানীকালে ২৪ জনের মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষে পরিচালনা করেন পিপি এ্যাড. এনামুল হক ও এপিপি এ্যাড. এম ইলিয়াস খান। আসামী পক্ষে ছিলেন এ্যাড. মো: ফরহাদ আব্বাস ও এ্যাড. নিরঞ্জন কুমার ঘোষ।