খুলনায় মাদকদ্রব্যের অভিযানে ১৭ মাসে আটক ২৩৭, ৪০ জনের সাজা

0
378

কামরুল হোসেন মনি:
আজ মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস। মাদকের চোরাচালান যেমন বাড়ছে তেমনি মাদকবিরোধী অভিযানও জোরদার হচ্ছে। জনবল ও যানবাহন সঙ্কট সত্ত্বেও খুলনা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর গত ১৭ মাসে ২৩৭ জন মাদক বিক্রেতাকে আটক করেছেন। এদের মধ্যে ৪০ মাদক বিক্রেতার বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে। এ সময়ে ১০ হাজার ৯৫৪ পিস ইয়াবা, ৪২ কেজি গাঁজা, ফেনসিডিল ৫৬৪ বোতল ও মাদক বিক্রির ৮১ হাজার টাকা জব্দ করেন।
জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয় সূত্র মতে, ২০১৭ জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ১৮ মে পর্যন্ত মাদকদ্রব্য কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা বিভাগ পৃথক অভিযান চালিয়ে ১ হাজার ৩৮২টি মাদক বিক্রেতার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন। এর মধ্যে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা হয় ৩৯১টি। এ সময়ে নিয়মিত ও মোবাইল কোর্টসহ মোট আসামির সংখ্যা হচ্ছে ৪২৫ জন। এর মধ্যে মোবাইল কোর্টে মামলার সংখ্যা ১৩৪টি। বিভিন্ন অভিযানের সময় ২৩৭ মাদক বিক্রেতাকে আটক করে এবং ৪৪ মাদক বিক্রেতা পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। এ পর্যন্ত ৪০ মাদক বিক্রেতাকে সাজা প্রদান করা হয়।
জানা গেছে, সংস্থাটি ২০১৭ সালে মাদক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে অভিযানে মাদকসহ বিক্রেতাদেরকে আটক করেন। এ সময়ে ৭ হাজার ৭৫৮ পিস ইয়াবা, ২৮ কেজি ৯৫৫ গ্রাম গাঁজা, ফেনসিডিল ৩০৬ বোতলসহ মাদক বিক্রিত ৪১ হাজার টাকা জব্দ করেন। এ সময় অভিযান পরিচালনা করা হয় ৯০৩টি। এর মধ্যে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন ২৫০টি। মোট মামলার সংখ্য্যা ২৮৭টি। এ সময় আইনের মাধ্যমে ৩২ জন মাদক বিক্রেতাকে সাজা ও ৯ জন খালাস পান। এছাড়া ২০১৮ সালের ১৮ মে পর্যন্ত মোবাইল কোর্টসহ অভিযান পরিচালনা করা হয় ৪৭৯টি। এ সময় মোট মামলার সংখ্যা ১২৫টি। এর মধ্যে নিয়মিত মামলা হয় ৮৪টি ও মোবাইল কোর্ট ৪১টি। এ সময়ের মধ্যে আটক মাদক বিক্রেতা ৮ জনকে সাজা ও ৩ জনকে খালাস প্রদান করা হয়। এ সময়ের মধ্যে ১ হাজার ৯২৯ পিস ইয়াবা, গাঁজা ৯ কেজি, ফেনসিডিল ১৭৬ বোতল, বিয়ার ৬৫ ক্যান ও মাদক বিক্রির ৪০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয় এর উপ-পরিচালক মোঃ রাশেদুজ্জামান বলেন, দীর্ঘ বছর ধরে খুলনার এ কার্যালয় জনবল ও যানবাহন সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে। এরকম পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে তাদের দিন-রাত পৃথক তিনটি টিম অভিযান পরিচালনা করছেন। অভিযানের পাশাপাশি মাদকের কুফল সম্পর্কে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাদকের ভয়াবহতার দিক শিক্ষার্থীদের মাঝে তুলে ধরা হচ্ছে। এছাড়া জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা চলছে। তিনি বলেন, আজ মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস। দিবসটি উপলক্ষে তাদের পক্ষে থেকে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে এর আগে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া বেসরকারিভাবে পরিচালিত মাদক নিরাময় কেন্দ্রগুলোতে বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্প খোলা হয়।