খুলনায় মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানসূচি

0
867

তথ্য বিবরণী: মহান বিজয় দিবস-২০১৯ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষে জাতীয় কর্মসূচির আলোকে খুলনা জেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ১৬ ডিসেম্বর ভোরে গল্ল¬¬ামারী শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হবে। প্রত্যুষে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে একত্রিশবার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হবে। ঐদিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, বেসরকারি ভবন ও প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। এছাড়া নগরীর সকল ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল সাড়ে আটটায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে বিভাগীয় কমিশনার আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন। একই স্থানে সকাল ৮-৪০টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, বিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, স্কুল,কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান, শিশু-কিশোর সংগঠন, কারারক্ষী, বাংলাদেশ স্কাউট, রোভার স্কাউট, গার্লসগাইড এর অংশগ্রহণে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান এবং শরীরচর্চা প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।
ঐ দিন সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। জেলা ও উপজেলা সদরে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের সমাবেশ, ক্রীড়া অনুষ্ঠান, টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, ফুটবল, কাবাডি ও হাডুড খেলার আয়োজন করবে। সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত সিনেমা হলে শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা টিকিটে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে। ১৬ ডিসেম্বর বেলা ১২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিস, পিআইডি’র আয়োজনে শহীদ হাদিস পার্কে মুক্তিযুদ্ধের ওপর স্থিরচিত্র প্রদর্শন করা হবে। ১৬ ডিসেম্বর বিভাগীয় যাদুঘর সকাল থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত শিশুসহ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য বিনা টিকেটে উম্মুক্ত রাখা হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সন্তানদের সংবর্ধনা প্রদান করা হবে বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে। দুপুর দুইটা বা সুবিধাজনক সময়ে হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা ও শিশুসদনসমূহে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে। নৌ-বাহিনীর জাহাজ জনসাধারণের দর্শনের জন্য বিআইডব্লিউটিএ রকেট ঘাটে বেলা দুইটা হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত উম্মুক্ত রাখা হবে।
১৬ ডিসেম্বর বাদজোহর বা সুবিধাজনক সময়ে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদক বিরোধী জনমত সৃষ্টির জন্য আলোচনা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য এবং জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বাদ যোহর বা সুবিধাজনক সময়ে মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হবে। বেলা তিনটায় পাইওনিয়ার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় মাঠে মহিলাদের ক্রীড়া অনুষ্ঠান ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা সভা এবং বিকেল সাড়ে তিনটায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে কেসিসি বনাম জেলা প্রশাসন একাদশের মধ্যে প্রদর্শনী ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
ঐ দিন সন্ধ্যা ছ’টায় খুলনা সার্কিট হাউস সংলগ্ন শেখ রাসেল ইন্টারন্যাশনাল টেনিস কমপ্লেক্সে ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার’ শীর্ষক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। ঐদিন নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ নিবন্ধ, সাহিত্য-সাময়িকী ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকাসহ বিভিন্ন পতাকা দিয়ে সজ্জিত করা হবে। বিআইডব্লি¬উটিএ লঞ্চ ঘাটে স্টিমার, লঞ্চ ও জাহাজ এবং রেল সজ্জিত করা হবে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গিলাতলা শিশুপার্ক, বয়রা শিশু পার্ক ও খালিশপুর ওয়ান্ডারল্যান্ড শিশুপার্ক বিনাটিকেটে শিশুদের জন্য উম্মুক্ত রাখা হবে। ১৭ ডিসেম্বর সুবিধাজনক সময়ে খুলনা সিটি কর্পোরেশন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা জানাবে। ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর শহীদ হাদিস পার্কে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক দুর্লভ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হবে। ১৬ থেকে ১৮ ডিসেম্বর ১০টা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরিতে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক দুর্লভ ছবি ও পুস্তক প্রদর্শন করা হবে।
১৪ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে রচনা প্রতিযোগিতা, ১৭ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরিতে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক আলোচনা ও কবিতা আবৃত্তি, ১৫ ডিসেম্বর খুলনা শিশু একাডেমি শিশুদের চিত্রাংকন, আবৃত্তি ও দেশাত্ববোধক সংগীত প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে। ১৭ ডিসেম্বর সুবিধাজনক সময়ে পূর্ব রূপসাঘাটে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীনের বীরত্ব ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। ১৬ থেকে ১৮ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে খুলনা বিসিক-এর উদ্যোগে বিসিক ভবন প্রাঙ্গণে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলার আয়োজন করা হবে।