খুলনায় ভুয়া নিয়োগপত্র ও সিলসহ চাকরিচ্যুত দুই সেনা সদস্য গ্রেফতার

0
868

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনাটাইমসঃ
খুলনায় সেনাবাহিনীর ভুয়া নিয়োগপত্র ও সিলসহ চাকরিচ্যুত দুই সেনা সদস্যকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে জেলার ফুলতলা উপজলার আলকা ১৪ মাইল গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বুড়িরচর গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে সেনাবাহিনীর চাকুরিচ্যুত সদস্য ফারুক হোসেন (৩০)। নং-৪৫০৬৯৬৩। বর্তমানে তিনি যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার নিশ্চিপুর গ্রামে বসবাস করেন। অপরজন হলেন- নওগাঁ জেলার সোপাহার উপজেলার হোসেনডাঙ্গা গ্রামের মৃত. খয়মুদ্দিনের ছেলে সেনাবাহিনীর চাকুরিচ্যুত ল্যান্সনায়ক শরিফুল ইসলাম (৩৮)। নং-৪০২৬২৫৪)। বর্তমান তিনি রাজশাহী পৌরসভার উপশহরের গোলাম আলী টিপুর বাড়ির ভাড়াটিয়া। গ্রেফতার দুজনের কাছ থেকে সেনাবাহিনীর কাপড়ের তৈরি ব্যাগ ভুয়া ২টি নিয়োগপত্রের অপূরণকৃত ফরম, ১টি সেনা নিয়োগের প্রশ্নপত্র ও নিয়োগ সংক্রান্ত ৬টি সিল উদ্ধার করা হয়।
জেলা গোয়েন্দা বিভাগ সূত্র জানায়, গ্রেফতারকৃতরা গোপালগঞ্জের মোকসেদপুর উপজেলার লাহাইড় গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজ মৃধার ছেলে মো. হাবিবুর রহমান মৃধা ও একই উপজেলার কাশালিয়া গ্রামের আব্দুস সামাদ মলি­কের ছেলে মো. আশ্রাব আলী মল্লিককে সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকায় চুক্তিবদ্ধ হন।
সেই মোতাবেক মঙ্গলবার টাকা নিয়ে তাদের খুলনার ফুলতলা উপজেলার অলকা চদ্দ মাইল এলাকার শহিদুলের হোটেলের সামনে আসতে বলেন। আগে থেকে অবস্থান নেয়া জেলা গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা তাদের আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে সেনাবাহিনীর কাপড়ের তৈরি ব্যাগ ভুয়া ২টি নিয়োগপত্রের অপূরণকৃত ফরম, ১টি সেনা নিয়োগের প্রশ্নপত্র ও নিয়োগ সংক্রান্ত ৬টি সিল পাওয়া যায়।
সিলগুলোর মধ্যে ব্রাঞ্চ রিক্রুটিং ইউনিট খুলনা সেনানিবাস, ব্রাঞ্চ রিক্রুটিং ইউনিট যশোর সেনানিবাস, মেজর অধিনায়ক বি,আর,ইউ, খুলনা, মেজর অধিনায়ক বিআরইউ, রংপুর, মেজর অধিনায়ক বিআরইউ, যশোর ও মেজর মেডিকল অফিসার ছিল।
এছাড়া তারা দবির উদ্দিন ও তানভীর নামে দুই জনকে যশোর কুইন্স হাসপাতাল থেকে রক্ত পরীক্ষা করে ১৫ ফেব্রুয়ারি ৯ লাখ টাকা নিয়ে ২টি ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়েছেন। এ ঘটনায় মোঃ হাবিবুর রহমান মৃধা বাদী হয়ে ফুলতলা থানায় মামলা দায়ের করন।
জেলা গোয়েন্দা শাখার ইনচার্জ সিকদার আককাছ আলী পিপিএম বলন, গ্রেফতার ফারুক ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ময়মনসিংহ সেনানিবাস ৭ম বীর থেকে চাকরির ভুয়া নিয়োগপত্র দেওয়ায় কোর্ট মার্শাল ল’তে ১ বছরের সাজা ভোগ করেন। তিনি ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে ছাড়া পান। একই অভিযোগ ল্যান্স করপারাল শরিফুল ২০১৬ সালে একই ভুয়া নিয়োগপত্র দান বান্দরবন সেনানিবাস ৭ম বীর থেকে কোর্ট মার্শালের মাধ্যম ১ বছর সাজা ভোগ করে ছাড়া পান। এছাড়া টাকা নিয়ে ভুয়া নিয়োগের বিষয়ে রাজশাহীতে আরও ১টি মামলার কথা স্বীকার করেছেন তারা।
আককাছ আলী আরা বলেন, গ্রেফতারকৃতরা একটি প্রতারক চক্রের সদস্য। তারা পরস্পর তাদের সহযোগী অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে সাধারণ মানুষকে সেনাবাহিনীতে নিয়োগের প্রলোভন দেখিয় লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে আসছে।