খুলনায় বিবাহের নামে নারীর সাথে প্রতারণা, অর্থ আত্মসাৎ

0
271

নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনা দিঘলিয়া ইউনিয়নে সেনহাটি এলাকার এক নারীকে বিয়ের পর স্বীকৃতি না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভূক্তভোগী নারীর সাথে পরিচয় হয়, দোলখোলা মোড় ফয়সাল সাহেবের বাড়ির ৪র্থ তলার বাসিন্দা বিকে জুট ট্রেডার্স এর মালিক পিতা- গোবিন্দ নন্দীর পুত্র বিপ্লব কুমার নন্দী। গত ১১ মাস যাবৎ প্রতারণাপূর্বক বিবাহের মাধ্যমে দৈহিক মেলামেশা করে আসছে। এছাড়া ব্যবসায় দেনা পরিশোধের কথা বলে বিভিন্ন সময়ে ওই নারীর নিকট হতে বিপ্লব সর্বমোট ১০ লাখ টাকা ধার হিসেবে গ্রহণ করে। যা অদ্যবধি পরিশোধ হয়নি। ওই নারী সামাজিকভাবে বিবাহ ও টাকা ফেরত চাইলে বিপ্লব তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এবং অন্যত্র বিবাহ করে। ওই নারী তার সহধর্মিনী হিসেবে সামাজিকভাবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য খুলনা জেলা প্রশাসন বরাবর লিখিত দরখাস্থ প্রদান করে জোর দাবি জানায়।
২০১৮ সালে বিপ্লবের সাথে ওই নারী ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। এরপর রূপালী ব্যাংক স্যার ইকবাল রোড শাখায় তাদের প্রথম সাক্ষাৎ হয়। তখন বিপ্লবের দাম্পত্য জীবনের কলহ ও যন্ত্রণাদায়ক বর্ণণা ওই নারীর নিকট তুলে ধরে। এছাড়া সে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে সুন্নতে খাতনার মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে বলে দাবি করে। এছাড়াও তার প্রথম স্ত্রীর সাথে তালাকের পর মামলা চলে বলেও জানায়। সেখান থেকে তাদের মধ্য সম্পর্ক তৈরি হয়। এর এক পর্যায়ে বিপ্লব ওই নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় এবং হুজুর এনে বিপ্লবের অফিসে বসে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক বিবাহ সম্পন্ন হয়।
এভাবে দীর্ঘ ১১ মাস বিপ্লবের সাথে তার অফিসের মধ্যেই দৈহিক মিলন ঘটে। এসময়ে ওই নারীর তিনবার বেবী কনসেপ্ট করে এবং প্রতিবারই বিপ্লব ভালবাসার দোহাই দিয়ে ঔষধ সেবনের মাধ্যমে বাচ্চা নষ্ট করতে বাধ্য করে। একপর্যায়ে ওই নারী সামাজিকভাবে বিয়ের জন্য চাপ দিলে বিপ্লব তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় এবং পাওনা টাকাও ফেরত দেয়নি।
উল্লেখিত, বিপ্লব কুমার নন্দীর সাথে যোগাযোগ করতে মুঠোফোনে একাধিক বার কল দেওয়ার পরও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।