খুলনায় বিদেশগামীদের মেডিকেল সনদ প্রদানে অবৈধ অর্থ লেনদেন, সংশ্লিষ্টদের ‘সতর্ক’

0
732

এম জে ফরাজী : খুলনার সিভিল সার্জন অফিসে বিদেশগামীদের মেডিকেল সনদ প্রদান বাবদ অবৈধ অর্থ লেনদেনের সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রবিবার দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের দল অভিযান পরিচালনা করে এ অভিযোগের সত্যতা পান। এ ঘটনায় দুদকের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করা হয়েছে।
দুদক সমন্বিত খুলনা জেলা কার্যালয়ের সূত্র জানায়, বিদেশগামী যাত্রীদের মেডিকেল সনদ প্রদান বাবদ খুলনার সিভিল সার্জন অফিসে জনপ্রতি ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে- মর্মে দুদক সদর দপ্তরে অভিযোগ ছিল। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সদর দপ্তরের নির্দেশে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান পরিচালনা করা হয়। ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা করে নেওয়ার সত্যতা না পাওয়া গেলেও জিজ্ঞাসাবাদে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. আতিয়ার রহমান শেখ জনপ্রতি ২৫০ টাকা করে নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। অভিযানের মুখে আর টাকা নেওয়া হবে না- বলে অঙ্গীকার করেন তিনি।
দুদকের সহকারী পরিচালক মোঃ শাওন মিয়া অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. আতিয়ার রহমান শেখ জনপ্রতি ২৫০ টাকা করে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। এর মধ্যে ২০০ টাকা সিভিল সার্জন বা স্বাক্ষরদাতা এবং বাকি ৫০ টাকা অফিস স্টাফরা নেয় বলেও স্বীকার করেন তিনি। রবিবার সিভিল সার্জন ছুটিতে থাকায় এ টাকা তিনি নিজে গ্রহণ করেন। কিন্তু এ টাকা নেওয়ার জন্য রশিদ বা বৈধতা তিনি দেখাতে পারেননি।
দুদকের এ কর্মকর্তা আরও জানান, প্রাথমিকভাবে তাকে ‘সতর্ক’ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে মেডিকেল সনদ প্রত্যাশীদের বিনামূল্যে সনদ প্রাপ্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেডিকেল সনদ বাবদ অর্থ গ্রহণ করা না হয় অথবা নিলেও কত টাকা, কিসের বিনিময়ে- সেটি অফিসের সামনে লিখে রাখা এবং রশিদ ছাড়া অর্থ লেনদেন না করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। অন্যান্য অফিসে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
রবিবারের অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ শাওন মিয়া। সঙ্গে ছিলেন সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম, উপ-সহকারী পরিচালক মোশাররফ হোসেন, উপ-সহকারী পরিচালক নীল কমল পাল ও উপ-সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ।