খুলনায় পৌঁছলো করোনার ১৪ কার্টন ভ্যাকসিন

0
180

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সুরক্ষিত ভ্যাকসিন বহনকারী পিকআপ ১৪ কার্টন ভ্যাকসিন নিয়ে খুলনায় পৌঁছেছে। রবিবার (৩১জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় ভ্যাকসিনের জন্য বিশেষায়িত ফ্রিজার গাড়িতে করে জেলা শহরের ইপিআই ভবনে (স্কুল হেলথ ক্লিনিক) করোনা ভ্যাকসিন এসে পৌঁছায়। এর মধ্যে ১৬ হাজার ৮০০ ভয়ালে ১ লাখ ৬৮ হাজার ডোজ টিকা রয়েছে। ৭ ফেব্রæয়ারি খুলনায় টিকা দেয়া শুরু হবে। শুরুতে টিকা দেওয়া হবে স্বাস্থ্যকর্মীদের। তারপর সম্মুখসারির যোদ্ধা এবং প্রাধিকারের তালিকা অনুযায়ী টিকাদান শুরু হবে।
খুলনা সিভিল কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, টিকা সংরক্ষণ করা হচ্ছে নগরীর স্কুল হেলথ ক্লিনিকে। এখানে ১৩টি ও নয়টি উপজেলায় ১৭টি আইএলআরে টিকা সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে টিকা ২ থেকে ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখতে সার্বক্ষনিক বিদ্যুতের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। রবিবার সাড়ে ১২টায় ভ্যাকসিনের জন্য বিশেষায়িত ফ্রিজার গাড়িতে করে জেলা শহরের ইপিআই ভবনে (স্কুল হেলথ ক্লিনিক) করোনা ভ্যাকসিন এসে পৌঁছায়। পরে গাড়ী থেকে করোনা ভ্যাকসিন রিসিভিং কমিটির সদস্যরা ভ্যাকসিনগুলো বুঝে নেন। ভ্যাকসিনের ডোজগুলো গাড়ী থেকে নামিয়ে ভবনের আই এল আর ফ্রিজগুলোতে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এ সময় কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণ ও সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি খুলনা সিভিল সার্জন ডা: নিয়াজ মোহাম্মাদ , নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার তাহমিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম ওয়াসিম ফিরোজ, সহকারি পরিচালক ঔষধ প্রশাসন, মনির উদ্দিন আহমেদ , জেলা ই পি আই সুপারেন্টেন্ড শেখ আব্দুল বাকী, কোল্ড চেইন টেকনিশিয়ান মোহাব্বত হোসেন, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রন) ডাঃ সাদিয়া মনোয়ারা ঊষা সহ মেডিকেল অফিসার গণ উপস্থিত ছিলেন।
খুলনায় কোভিড-১৯ এর করোনা ভ্যাকসিনের ১,৬৮০০০ ডোজ পৌঁছেছে। আগামী ৭ ফেব্রæয়ারী করোনার টিকা দেয়া হবে।
খুলনা সিভিল সার্জন ডাঃ নিয়াজ মোহাম্মদ জানান, খুলনা জেলায় ৯৭ হাজার ২৩০ জন সম্মুখ সারির জনগোষ্ঠীর চাহিদা পাঠানো হয়েছে । তাদেও প্রথমধাপে টিকা প্রদান করা হবে। প্রথম পর্যায়ে খুলনা সিটি করপোরেশন ও দুটি পৌরসভার এক হাজার ৬৯০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, খুলনায় কর্মরত সরকারি কর্মচারী ৩০ হাজার ৬০৬ জন, সরকারি হাসপাতালে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী ৪ হাজার ১৩০ জন, বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী ৮ হাজার ১০১ জন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে সশস্ত্র বাহিনী ৫৪৮ জন, বিজিবি সদস্য ৪১৩ জন, পুলিশ সদস্য এক হাজার ৮৫৯ জন, আনসার ও ভিডিপির সদস্য ৮ হাজার ৯৯৩ জন, জেলা পরিষদের ২৯৫, উপজেলা পরিষদের এক হাজার ৯১, ইউনিয়ন পরিষদের এক হাজার ২৭৩, সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ১৬ হাজার ৭৮৪ ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ২০ হাজার ৯০০ জন ও গণমাধ্যমকর্মী ৫৪৭ জন টিকা পাবেন।