খুলনায় নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের মানববন্ধন

0
242

খবর বিজ্ঞপ্তি:
নারী-শিশু ধর্ষণ-নির্যাতনকারীদের শাস্তির বিষয়ে সরকার নতুন আইন করতে যাচ্ছে। কিন্তু শুধু আইন করলেই হবেনা, এ আইনের কঠোর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তিও নিশ্চিত করতে হবে। সুষ্ঠু গণতন্ত্রের মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার মধ্যদিয়ে সমাজ-দেশ থেকে ধর্ষণ-নিপীড়ন দূর হবে। খুলনাসহ দেশব্যাপী নারী ধর্ষণ ও নির্যাতনের প্রতিবাদে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম খুলনা মহানগর শাখার পক্ষ থেকে শনিবার (১০ অক্টোবর) বেলা ১১টায় নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা এসব কথা বলেন। দু’ দিনব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন চলাকালে দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে চরমভাবে ধর্ষণ বেড়ে যাওয়ায় এটিকে মহামারি হিসেবে আখ্যা দিয়ে বক্তারা আরও বলেন, একদিকে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র ও যুব সংগঠনের কর্মী, আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং শিক্ষক, এমনকি পরিবারের সদস্যদের দ্বারাও নারী-শিশুরা হেনস্থার শিকার হচ্ছে। নৈতিক স্খলন ও সু-শিক্ষার অভাবেই এ ধরণের ঘটনা ঘটছে। তবে, এ অবস্থায় সরকারের যে ভূমিকা দেশবাসী প্রত্যাশা করেছিল তা দেখা যাচ্ছে না। বক্তারা অবিলম্বে দলীয় পরিচয়ের উর্দ্ধে উঠে সকল ধর্ষককে আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করা এবং ধর্ষণ-নির্যাতনের শিকার পরিবারগুলোকে আইনীসহ সব ধরণের সহায়তার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান। কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম খুলনা মহানগর আহ্বায়ক ও কেসিসি’র সাবেক মেয়র মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি। পরিচালনা করেন সদস্য সচিব নারীনেত্রী রেহানা ইসা। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন ফোরামের প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক মুহাম্মদ নূরুজ্জামান। প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও নগর বিএনপি সভঅপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপি’র সভাপতি অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনা। বক্তৃতা করেন শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শিক্ষক নেতা অধ্যাপক মনিরুল হক বাবুল, বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান মন্টু, শেখ আব্দুর রশিদ, খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির নেতা নিজামুর রহমান লালু, সিরাজুল হক নান্নু, এ কে এম শহীদুল ইসলাম, আইনজীবী ফোরাম নেতা অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা, এডভোকেট কানিজ ফাতেমা আমিন, কাওছারী জাহান মঞ্জু, কেসিসির সাবেক কাউন্সিলর আনজিরা খাতুন। উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট ফজলে হালিম লিটন, স ম আব্দুর রহমান, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, এডভোকেট শরিফুল জোরদার খোকন, অ্যাডভোকেট মোমরেজুল ইসলাম, এ্যাডঃ মাসুম আল রশিদ, কামরুজ্জামান টুকু, নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, মেহেদি হাসান দিপু, ইকবাল হোসেন খোকন, শাহিনুল ইসলাম পাখি, মর্শিদুর রহমান লিটন, ইউসুফ হারুন মজনু, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, ওয়াহিদুজ্জামান, মুরশিদ কামাল, ইকরামুল কবির মিল্টন, হাসানুর রশীদ মিরাজ, অধ্যাপক গুলশান আরা, মশিউর রহমান যাদু, শামসুজ্জামান চঞ্চল, শরিফুল ইসলাম বাবু, নাজির উদ্দিন আহমেদ নান্নু, মোল্লা মজিবুর রহমান, হাফেজ আবুল বাশার, অধ্যাপক মুন্সি শফিকুল ইসলাম, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, রাহাত আলী লাভলু, জসিম উদ্দিন লাবু, কেসিসি’র কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান মনি, আবু সায়ীদ হাওলাদার, আব্বাস তালুকদার, শাহাবুদ্দিন মন্টু, বদরুল আনাম, হাসনাহেনা, মাহবুব হোসেন, সরদার রবিউল ইসলাম রবি, আনসার আলী, হারুন-অর-রশিদ, মেজবাহউদ্দিন মিজু, এনামুল হক সজল, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, মোস্তফা কামাল, তহিদুল ইসলাম খোকন, মোজাফফর হোসেন, ওয়াহিদুর রহমান দিপু, আব্দুল জব্বার, হেদায়েত হোসেন হিদু, আব্দুল আলিম, ওয়াহিদুজ্জামান, গৌতম দে হারু, মাজেদা খাতুন, মনিরুল ইসলাম, জুলকার নাইন, জামাল উদ্দিন মন্ডল, আলহাজ্ব সাব্বির হোসেন, মোহাম্মদ আলী, হুমায়ুন কবির, জাকারিয়া লিটন, রাজু আহমেদ, সাইফুল ইসলাম রাজ্জাক, ডাক্তার ফারুক হোসেন, চমন আরা, সেলিম বড় মিয়া, মনিরা সুলতানা, লায়লা পারভীন, আব্দুল মাজেদ, রফিকুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান লেলিন, কাজী মুহাম্মদ মাসুম, মশিউর রহমান লিটন প্রমূখ।