খুলনায় নকল ওষু‌ধের কারখানা অা‌বিস্কার

0
749

‌টাইমস প্রতিবেদক : খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গায় নকল ওষু‌ধের কারখানা খোঁজ মিলেছে। আজ বুধবার বিকেলে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজেস্ট্রেট মো: আরাফাতুল আলম এর ভ্রাম্যমান আদালত সেখানে অ‌ভিযান চালায়। সেখানে বিপুল পরিমান ভেজাল ও নকল ওষুধ জব্দ করা হয়। অবৈধ কারখানার মালিক মোহাম্মদ হাফিজ ও মোঃ ইকবাল নামের একজন কেমিস্ট আটক হয়।

মোঃ ইকবাল নামের একজন এই অবৈধ কারখানার মালিকের পাটনার আছে বলে আটকেরা জানান। গণমাধ্যম কর্মীরা তাকে ফোন দিলে তিনি নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর এপিএস এর ছোট ভাই পরিচয় দেন। অভিযানে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ অংশ নেয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: আরাফাতুল আলম (নয়ন) খুলনা টাইমসকে বলেন, ভোক্তা অধিকার আইনে কারখানার মালিক হাফিজকে ৬ মাসের কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এং অনাদায়ে আরো ২ মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।

এসময় কারখানার কেমিস্ট্র (কর্মচারী) স্বাক্ষ্য প্রদান করায় তাকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। সে স্বাক্ষ্য দেয় যে, তিনি গত মাসের এখানে যোগদান করেন। একাজের সাথে তিনি সম্পৃক্ত নয়। এমনকি এই ভেজাল কারখানা তাও তিনি জানেন না। তবে যে ফর্মূলায় ওষুধ তৈরি হয়, সেটা মানবদেহের জন্য চরম ক্ষতির কারণ হতে পারে, এমনকি মৃর্ত্যু ঘটতে পারে।

এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরও জানান, আসামী দীর্ঘ ৪/৫ বছর ধরে সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার নিজ বাড়িতে এই কারখানায় ভেজাল ওষুধ তৈরি করে আসছে। এর আগে তার ভাই বৈধ কাগজপত্র নিয়ে এই কারখানা পরিচালনা করতো। সে নিরুদ্দেশ হবার পর থেক হাফিজ এই কারখানায় ওষুধ তৈরি করতো। কারখানাটিকে তিনি ল্যাবরেটরী ও নিজেকে অভিজ্ঞ ব্যক্তি দাবি করলেও বৈধ কোন সনদপত্র সে দেখাতে পারেনি।

আরো জানা গেছে, এই কারখানা থেকে উৎপাদন করা ওষুধ সে খুলনা বিভাগের মাগুরা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করে আসছে। কারখানায় জব্দ করা ১০ হাজার পিচ সিরাপসহ অন্যান্য ভেজাল ওষুধ বিনষ্ট করা হয়। কারখানাটিকে ভেজষ দ্রব্য, চিনি, ময়দাসহ নানা ক্যামিক্যাল পাওয়া গেছে।