খুলনায় দু’টি হাইটেক পার্ক স্থাপন হচ্ছে

0
918

খুলনাটাইমস ডেস্ক : বন্দর নগরী খুলনায় শিল্পের প্রসার ও বিকাশে পরিবেশ সৃষ্টি এবং দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে দু’টি হাইটেক পার্ক স্থাপন হচ্ছে। ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এ উদ্যোগ নিয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উৎপাদন বন্ধ দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরীর ১৬ একর জায়গা পছন্দ হলেও মালিকানাধীন সম্পত্তিতে হাইটেক পার্ক স্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে না। শেষ অবধি রূপসা নদীর পাড়ে দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরীর বিপরীতে একটি এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ক্যাম্পাসে অপর হাইটেক পার্ক স্থাপন করা হবে।

গত বছর অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসকের সম্মেলনে খুলনার তৎকালীন জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান রূপসা নদীর তীরে উৎপাদন বন্ধ দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরীর ১৬ একর জমিতে হাইটেক পার্ক স্থাপনে সুপারিশ করেন। এ নিয়ে কয়েক দফা চিঠি চালাচালি হয়েছে। গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর হাইটেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দাদা ম্যাচের জায়গাটি প্রতীকী মূল্যে বন্দোবস্ত দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনকে অবহিত করেন।

খুলনা সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) জুবায়ের হোসেন চৌধুরী জানান, উল্লেখিত সম্পত্তির মালিক দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরী কর্তৃপক্ষ। ফলে মালিকানাধীন সম্পত্তি বন্দোবস্ত দেওয়ার অধিকার জেলা প্রশাসনের নেই। বিকল্প হিসেবে দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরীর বিপরীতে রূপসা নদীর পাড়ে ৩ একর ৫৯ শতক খাস জমি হাইটেক পার্কের জন্য বরাদ্দ দেওয়া যাবে বলে জেলা প্রশাসন প্রতিবেদন পাঠাচ্ছে। টুটপাড়া মৌজায় উল্লেখিত জমি জেলা প্রশাসকের নামে রেকর্ড। এই খাস জমিতে হাইটেক পার্ক গড়ে উঠতে পারে।

হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক (বিনিয়োগ) শাহরিয়ার আল হাসান জানান, দেশের ২৮টি স্থানে এই পার্ক স্থাপন হবে। তার মধ্যে যশোরে শেখ হাসিনা হাইটেক পার্কের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এছাড়া দক্ষিণ অঞ্চলে বরিশাল, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জে পার্ক স্থাপনে অনুমোদন ও প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। খুলনার দুটি পার্ক হবে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ও জেলা প্রশাসনের প্রস্তাবিত স্থানে।

২০১০ সালের ১৮ আগস্ট দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরীর উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। রূপসা নদীর তীরে ১৯৫৬ সালে ১৮ একর জমির ওপর এই ফ্যাক্টরীর উৎপাদন শুরু হয়। তথ্যসূত্র : আমাদের খুলনা