খুলনায় থুকরা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেনের রমরমা ঘুষ বানিজ্য!

0
770

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনাটাইমস:
খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার থুকরা ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বিরুদ্ধে বিভিন্ন নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তিনি প্রকাশ্যে উৎকোচের টাকা দাবি করেন। নইলে সেবা প্রার্থীদের হয়রানির শিকার হতে হয়। দাবীকৃত ঘুষের টাকা পরিশোধ করা হলে দাখিলা কাটা যায়। আর দেয়া না হলে দাখিলা ভলিউম বইয়ে সংশ্লিষ্ঠ জমির বিভিন্ন সম্মস্যার অজুহাত দেখান। তেমনি খাজনার ভলিউম বইয়ের নির্ধারন করা থাকলেও নানা টালবাহানায় তিনি জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেন।
সম্প্রতি তিনি (কালাম) ছদ্দনামের এক ব্যাক্তি জমির খাজনা দিতে থুকরা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যান। ফরহাদ হোসেনে কাছে দাখিলা প্রদানের রশিদ চাইলে তিনি কালামকে বলেন ‘আপনার জমিতে সম্মস্যা আছে দাখিলা দেয়া যাবেনা’। জমির এস,এ দাগসহ সবকিছুই আপগ্রেড রয়েছে বলে কালাম জানালে, ফরহাদ প্রতুত্তরে বলেন ’আপনার যে জমি আছে তা ভলিউম বইতে নেই, পুরোনো ভলিউমে থাকলে দাখিলা দেয়া যাবে, তবে ঘুষ দিতে হবে একলক্ষ টাকা’। উপায়ন্তুও না দেখে কালাম দেন দরবার করে ফরহাদ হোসেনকে পঞ্চাশ হাজার টাকা উৎকোচ দিয়ে খাজনা রশিদ প্রদান করেন ।
শুধু কালামই একা নয়, তার অনেকেই বাধ্য হচ্ছেন উৎকোচ প্রদানে। কারণ থুকরা ইউনিয়ন অফিসের ফরহাদকে টাকা ছাড়া কোন কাজ করেন না। এছাড়া খাজনা দিতে অফিসে আসা কোন সুন্দরী নারী পেলে তাকে ছলে বলে কৌশলে তার কাজ আটকে রাখেন, সুযোগ বুঝে অনৈতক প্রস্তাব তোলেন। তাতে রাজি হলেই ফরহাদ তার জমির খাজনা রশিদ প্রদান করেন বলে জানান রাশিদা (ছদ্দনাম) নামের এক নারী ।
এ ব্যাপারে থুকরা ইউনিয়ন অফিসের ভূমি কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেনের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে, তিনি দাম্বিকের সাথে বলেন ঘুষ না খায় কে। দ্রব্য মুল্যের উর্দ্ধগতির সাথে ঘুষের গতিও বেড়েছে। পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহন ও প্রকাশ্যে উৎকোচ দাবির বিষয় জানতে চাইলে তিনি এর সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পত্রিকায় লিখে কোন লাভ নেই, ঘুষতো আমি খাই তবে একা নয়, উদ্ধতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করতে প্রতিমাসে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা ডুমুরিয়ার সকল সহকারী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের দেয়া লাগে বলে জানান তিনি। এ প্রতিবেদককে তিনি আরও বলেন আপনি পারলে আমার ঘুষ খাওয়া পত্রিকায় লিখে বন্ধ করেন।