খুলনায় “জমি আছে ঘর নেই” প্রকল্পে বঞ্চিত হচ্ছে প্রকৃতরা

0
774

বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রীর গৃহহীন ছিন্নমূল মানুষের জন্য বরাদ্ধকৃত ‘জমি আছে ঘর নেই’ প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে বটিয়াঘাটা উপজেলায় নানা অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে সম্প্রতি সময়ে করোনা ভাইরাস ও আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে অর্থ বাণিজ্য, দলীয়করন এবং দূনীতির মাধ্যমে স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদের কিছু চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের বিরুদ্ধে এ সব অভিযোগ উঠেছে।
বিগত বছরে এ উপজেলায় ৭টি ইউনিয়নে ৫০০ ঘর বরাদ্ধ হয়। এর মধ্যে স্থানীয় সাংসদ ও জাতীয় সংসদের হুইপ ৪০টি, উপজেলা চেয়ারম্যান ৪০টি এবং স্ব স্ব ইউপি চেয়ারম্যানেরা প্রত্যেকে ৬০টি করে প্রকল্পের ঘর বরাদ্ধ পায়। উক্ত বরাদ্ধে বন্টন প্রক্রিয়ায় সংরক্ষিত মহিলা এমপির বরাদ্ধ বাদ পড়ে। তবে ঐ সময়ে স্থানীয় সাংসদ শারিরীক ভাবে অসুস্থ থাকায় তার বরাদ্ধকৃত ৪০টি ঘর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদ মিলে তাদের পছন্দের লোকদের বরাদ্ধ দেয়। এতে স্থানীয় সাংসদের অনুসারীরা বরাদ্ধ থেকে বঞ্চিত হয়।
অপরদিকে উক্ত বরাদ্ধকে কেন্দ্র করে কিছু কিছু ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বররা একত্রে যোগসাজসে বিভিন্ন দপ্তরের নাম ভাঙ্গিয়ে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা অর্থ বাণিজ্য করে, এমন কথা স্বীকার করেছে একাধিক ভূক্তভোগী। বর্তমানে আবারও একই প্রকল্পের ঘর বরাদ্ধ আসায় আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে অর্থ বাণিজ্য, দলীয়করন এবং দূনীতির মধ্যমে ঘর বরাদ্ধ দেয়ার পায়তারা করছে। আর এসব কাজে সহযোগী হিসেবে রয়েছে একাধিক দালাল চক্র। এতে করে প্রকৃত গৃহহীন মানুষ বাদ পড়ে যাবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ফলে একদিকে যেমন প্রকৃত গৃহহীনরা ঘর বরাদ্ধ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর “জমি আছে ঘর নেই” প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। এব্যাপারে ভূক্তভোগী প্রকৃত গৃহহীনরা স্থানীয় সংরক্ষিত মহিলা এমপি, জাতীয় সংসদের হুইপ ও প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।