খুলনায় এরফান আহমেদ লিটু ও শহিদ হাসান আম্বু টাকা আত্মসাত করতে গিয়ে পুলিশের কাছে বন্দী

0
954

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা টাইমস:
খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার এক যুবককে বিদেশে নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাত করে। এ ঘটনায় আদালত মামলা করায় বাদীকে হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বাদী অভিযাগ করেন যে, খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের মৃত আবুল কাশেম গাজীর পুত্র নুরু ইসলামকে উন্নত জীবন ধারন ও প্রতিমাসে আয়ের প্রলোভন দেখিয় জেলা মাগুরা সদরের ফুলবাড়ী এলাকার মুন্সি আতাহার হোসেনের দুই সন্তান এরফান আহমেদ লিটু ও শহিদ হাসান আম্বু মিলে নগদ ১০ লক্ষ টাকা নেয়।
২০১৬ সালের জুন মাসে কথা ছিল টাকা দেওয়ার ২ মাসের মধ্যে ইটালিতে চাকরি দিয়ে পাঠাবে। তাদের দুই ভাইয়ের কথা মত নুর ইসলাম জমি বন্ধক ও লীজ বিক্রয় করে এবং আত্মিয় স্বজনের নিকট হতে অর্থ ধার করে ভবিষ্যতের সুখের আশায় টাকা তুলে দেয় এরফান আহমেদ লিটু ও শহিদ হাসান আম্বু’র কাছে। আসামীরা দুই ভাই মিলে তাকে মাসের পর মাস ধরে এমাস নয় পরের মাসে হবে ইত্যাদি কথা বলে সময় পার করতে থাকে। এভাবে ৬ মাস বছর পেরিয়ে গেলেও নুর ইসলামের আর ইটালী যাওয়া হয় না। অসহায় দরিদ্র ছেলে একদিকে বাপমার অত্যাচার ও অন্যদিকে দেনা পাওনার অত্যাচারে তিলে তিলে শেষ হতে বসেছে। সেই ধরে বুঝতে পারে ওরা দুই ভাই তার সাথে প্রতরণা করছে। এক পর্যায়ে নুর ইসলাম তার ১০ লক্ষ টাকা তাদের নিকট ফেরত চায়। প্রথমে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বললেও পরে আর কোন যোগাযোগ করে না।
২-৩ বার তাদের সাথে টাকা চাইলে বলে তারা কোন টাকা নেননি। এমনকি তাদের মোবাইল ফোনে ফোন দিলেও তারা ফোন রিসিভ করে না। এর পর মাঝে মধ্যে ফোন রিসিভ করে বলে আর যদি ফোন করে বিরক্ত করিস তাহলে তোকে জানে মেরে ফেলবো। আমার কাছে কোন টাকা পয়সা পাবি না। ফলে নুর ইসলাম একের পর বাধ্য হয়ে নিজে বাদী হয়ে লিটু ও আম্বু কে আসামী করে খুলনার কয়রা আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং সি আর ১৪০/১৭, এছাড়াও পুলিশ সুত্র জানা যায়, ঐ দুই আসামীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে। মানব পাচার মামলা নং- ডুমুরিয়া থানা-৩৩, পাইকগাছা থানা-২৯, তারিখ- ০২/০৮/১৭ইং, ইন্দুরকাদি থানা- মামলা নং-১, তারিখ- ০২/১১/১৭ মামলা চলমান। গ্রেফতার করার ওয়ারেন্ট নং ২৯৫, তারিখ- ১৭/০৮/১৭।

বর্তমান ক্রিমানাল দুটি জেলা কারাগারে আটক থাকলেও আসামী পক্ষের পরিবার বাদীকে একের পর এক পুলিশের ভয় বিভিন্ন রাজনৈতক নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে তাদেরকে ভয় দিয়ে আসছে আসামী পক্ষের তদবির কারক খুলনা সি আই ডি ইন্সপেক্টর শাহজাহান বাদিকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছে বলে বাদি জানান ,তিনি বলেন মামলা তুলে না নিলে আমি শাহজাহান খুলনা সি আই ডি খুলনা অফিসার, তোকে দেখাব, এমন ভয়ে বাদি তার পরিবারের লোকজন নিয়ে বিপাকে বলে জানান এমন অভিযোগ বাদী পক্ষের।#