খুলনায় একই স্থানে আ’লীগ-বিএনপির সমাবেশ : পুলিশের নিষেধাজ্ঞা জারি

0
460

এম জে ফরাজী, নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনাটাইমস:
খুলনায় নগরীর শহীদ হাদিস পার্কে শনিবার (১০ মার্চ) বিএনপি ও মহিলা আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ডাকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)। শুক্রবার (৯ মার্চ) কেএমপি এক বিজ্ঞপ্তিতে শহীদ হাদিস পার্কসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় সকল ধরনের সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ জারি করে। আজ শনিবার (১০ মার্চ) সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট এলাকায় সকল ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণার কথা ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। নগরীতে হ্যান্ড মাইকিং এবং পুলিশ ভ্যানে করে মাইকিং’র মাধ্যমে এই বিষয়টি প্রচার করা হচ্ছে।
কেএমপি কমিশনার মো. হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার ১০ মার্চ নগরীর শহীদ হাদিস পার্কে দুটি রাজনৈতিক দল জনসভা আহŸান করেছে। একই স্থানে একই সময়ে পরস্পরবিরোধী দুটি রাজনৈতিক দল জনসভা আহŸান করায় আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ও জননিরাপত্তা বিঘিœত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এই কারণে শান্তি-শৃংখলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কেএমপি অধ্যাদেশ-১৯৮৫’র ৩০ ধারা অনুযায়ী নগরীর শহীদ হাদিস পার্কসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় সকল প্রকার সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ করা হলো।
এদিকে নিষেধাজ্ঞা জারির পর শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে কেডি ঘোষ রোডে বিএনপি অফিসের সামনের সড়কে হ্যান্ড মাইকে পুলিশকে বিষয়টি প্রচার করতে দেখা যায়। সদর থানা থেকেও পুলিশ ভ্যানে করে মাইকিং’র মাধ্যমে নগরীতে বিষয়টি প্রচার করা হয়।
শুক্রবার দুপুরে মহানগরীর কেডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। এসময় তিনি বলেন, গত মাসের ২৬ তারিখে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভাগীয় শহরগুলোতে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২৭ ফেব্রæয়ারি খুলনার শহীদ হাদিস পার্কে আমরা জনসভা করার অনুমতি নিই। এখন শুনছি আওয়ামী লীগের একটি অঙ্গ সংগঠন সেখানে সভা ডেকেছে। তারা পায়ে পা দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এখন পুলিশ বলছে, হাদিস পার্ক কেন আশেপাশের রাস্তাতেও সমাবেশ করা যাবে না। তারা আসলে ১০ তারিখে সভা করতে চায়নি। আমাদের সমাবেশ নষ্ট করতে চেয়েছে। তারা সরকারে আছে, তাই সরকারের সহযোগিতায় এ অপকৌশল কাজে লাগিয়েছে তারা। আমরা এর নিন্দা জানাই।