খুলনায় ইমাম হোসাইন (আঃ)’র পবিত্র শাহাদাৎ স্মরণে আশুরা পালিত

0
557

বিজ্ঞপ্তি : প্রতিবারের মত পবিত্র মহররম উপলক্ষে আঞ্জুমান-এ-পাঞ্জাতানী ট্রাষ্ট আয়োজিত ১০ দিন ব্যাপী শোক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ১লা হতে ১০ই মহররম পর্যন্ত আলোচনা করেন ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ হুজ্জাতুল ইসলাম সৈয়দ ইব্রাহিম খলিল রাজাভী এবং সমাপনী দিনে হযরত ইমাম হোসাইন (আঃ) এর পবিত্র শাহাদৎ স্মরণে আশুরার শোক মিছিল নগরীর আলতাপোল লেনস্থ আঞ্জুমান-এ-পাঞ্জাতানী ট্রাষ্ট ইমাম বাড়ি হতে সকাল ৯.৩০ মিনিটে বের হয়।
শোক মিছিলপূর্ব বক্তৃতায় ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ হুজ্জাতুল ইসলাম সৈয়দ ইব্রাহীম খলীল রাজাভী আশুরার শোক সমাবেশে সূরা আলে ইমরানের ৬১নং আয়াত উদ্ধৃত করে বলেন যে, “ধর্ম সম্পর্কে নাজরানের খৃষ্টানরা রাসুল করিম (সা.) এর সাথে বিতর্কে লিপ্ত হলে নবী (সা.) অনেক যুক্তি তর্কের পরও তাদেরকে বোঝাতে যখন সক্ষম হলেন না তখন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন রাসুল (সা.)কে তাদের সাথে মোবাহিলার নির্দেশ দিলেন এবং মোবাহিলার জন্য তাঁর দুই দৌহিত্র হাসান ও হোসাইন (আ.), কন্যা ফাতিমা (সা.আ.) ও জামাই ও চাচাত ভাই হযরত আলী (আ.)কে সঙ্গে নিয়ে মোবাহিলার ময়দানের দিকে অগ্রসর হলেন। এঁদেরকে আসতে দেখে খৃষ্টান পাদ্রীরা খৃষ্টানদেরকে মোবাহিলা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিল এবং জিজিরা কর প্রদানের সম্মত হল”।
এ ঘটনা প্রমাণ করে যে, নবী (সা.) ও আহলে বাইতের (সা.) এ চার সদস্যের বিপক্ষে যারাই অবস্থান নেবে তারাই মিথ্যাবাদী প্রতিপন্ন হবে।
তিনি বলেন আশুরার শিক্ষাই হল জালিমদের বিরুদ্ধেও মজলুমপেক্ষে অবস্থান নেয়া।
আলোচনা শেষে একটি শোক ও মাতম মিছিল নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় ইমামবাড়িতে গিয়ে শেষ হয়। এ শোক মিছিলে খুলনা ও অন্যান্য এলাকা থেকে আগত শিয়া মুসলমান নারী ও পুরুষ অংশ গ্রহণ করেন।