খুলনায় আ. লীগ ও বিএনপি-জামায়াত জোটে ১৪ জন করে বিদ্রোহী

0
419

বিশেষ পতিনিধি : খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল সোমবার (২৩ এপ্রিল)। আজ মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) শুরু হয়েছে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ কার্যক্রম। কিন্তু দফায় দফায় বৈঠক করেও দলীয় বিরোধ মেটাতে পারেনি আওয়ামী লীগ, বিএনপি-জামায়াত জোট। প্রার্থিতা প্রত্যাহার শেষে আওয়ামী লীগের ১৪ জন ও বিএনপি-জামায়াত জোটের ১৪ জন বিদ্রোহী মাঠে রয়েছেন।

এরমধ্যে ১২টি সাধারণ ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের ১৩ জন ও সংরক্ষিত ১টি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের ১ জন এবং ৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে বিএনপির ৭ জন ও জামায়াতের ১ জন, ২টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে বিএনপির ২ জন বিদ্রোহী রয়েছেন। এছাড়া আরও ৪টি ওয়ার্ডে বিএনপি প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে জামায়াতের ৪ জন রয়েছে। ১টি ওয়ার্ডে জামায়াত একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন।

২০১৩ সালের নির্বাচনে দলীয় বিভেদের কারণে খেসারত দিতে হয়েছিল আওয়ামী লীগকে। এ কারণে এবার নির্বাচনে শুরু থেকেই প্রার্থী বাছাইয়ে কঠোর ছিল দলটি। দলীয় বিভেদের কারণে মনোনয়ন না পাওয়ায় নির্বাচিত তিন জন কাউন্সিলর দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। সংরক্ষিত আসনেরও রয়েছে দু’দলের বিদ্রোহী প্রার্থী।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এসএম কামাল হোসেন বলেন, ‘দলীয় কঠোর সিদ্ধান্তের কারণেই ১৯টি সাধারণ ও ৯টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে একক প্রার্থী দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তারপরও কিছু প্রতিনিধি রয়ে গেছেন যাদের ব্যাপারে দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়েই প্রার্থিতা চূড়ান্ত করা হয়েছে। দলীয় কঠোর অবস্থানের কারণেই সাধারণ ওয়ার্ডের ৭টিতে এবং সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের দুটিতে মনোনয়নের বাইরে ২ জন রয়েছেন। পাশাপাশি ৬টি ওয়ার্ডে ২০ দলের শরীক জামায়াতের ৬ জন প্রার্থী রয়েছেন। তবে সব সিদ্ধান্তে সব সময় সবাই সন্তুষ্ট হয় না। তারপরও যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তাদেও ব্যাপারে কেন্দ্রে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’