খুলনায় আ’লীগের কর্মসূচিতে বাঁধা, পুলিশের দুই এসআই ক্লোজড

0
208

টাইমস ডেস্ক:
খুলনায় মোমিনুল এবং মিয়া রব নামে সদর থানা পুলিশের দুই উপ-পরিদর্শককে (এসআই) ক্লোজ করা হয়েছে। মহানগরীর ২১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কর্মসুচিতে পুলিশের বাঁধা দেওয়ার ঘটনায় বুধবার (০৩ মার্চ) রাতে তাদেরকে ক্লোজড করা হয়। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার দক্ষিণ মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, সদর থানা পুলিশের দুই এস আই যাচাই-বাছাই না করে সমাবেশে বাঁধা দেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদেরকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করে নেওয়া হয়েছে। এর আগে, বিকালে খুলনায় বিএনপি অফিসের সামনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। স্থানীয় ২১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রতিবাদ মিছিল থেকে বিএনপির মহানগর ও জেলা অফিসের সামনে কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিলে খুলনা সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে বলে স্থানীয় আ’লীগ নেতারা অভিযোগ করেন। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। নগরীর ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আ’ লীগের নেতা শামসুজ্জামান মিঞা স্বপন বলছেন. গত ২৭ ফেব্রুয়ারী খুলনায় বিএনপির মহাসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও পুলিশ নিয়ে অশালীন বক্তব্য দেন। এই বক্তব্য নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিল করছে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতারা। যার অংশ হিসাবে ২২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ বুধবার নগরীর হেলাতলা থেকে শুরু হয়। প্রতিবাদ মিছিলটি হেলাতলা হয়ে থানার মোড় হয়ে সোসাইটির মোড়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল। সেখানে বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান দুদু’র কুশপুত্তলিকার পোড়ানো ও প্রতিবাদ সমাবেশ করার কথা ছিল। কিন্তু থানার মোড়ে জ্যাম থাকায় কে ডি ঘোষ রোডের বিএনপি অফিসের আগে সমাবেশ শুরু করে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতারা। এ সময় কয়েকজন পুলিশ সদস্য এসে নেতা কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করে। তখন পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এসময় চারপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। পরে পুলিশের উদ্ধর্তন কর্মকর্তা ও স্থানীয় কাউন্সিলর এবং আওয়ামী লীগের নেতারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কাউন্সিলর শামসুজ্জামান মিঞা স্বপন আরও বলেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে কথা বলে অনুমতি নেন কর্মসুচি পালনের। তারপরও ওইখানে পুলিশের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা আমাদের নেতা কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করে। পরে অবশ্য এটি ভুল হয়েছে বলে দুঃখ প্রকাশ করে পুলিশের উদ্ধর্তন কর্মকর্তারা। সূত্র: খুলনা গেজেট