খুলনার চার উপজেলায় বিদ্রোহী, দুটিতে আ’লীগ জয়ী

0
2089

এম জে ফরাজী : ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে খুলনার ৮টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে।
প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, খুলনার ৬টি উপজেলার মধ্যে রূপসা ও পাইকগাছা উপজেলায় নৌকার প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। অপরদিকে তেরখাদা, দাকোপ, কয়রা ও দিঘলিয়ায় বিদ্রোহী প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন। এছাড়া বটিয়াঘাটা উপজেলায় আওয়ামী লীগের আশরাফুল আলম খান ও ফুলতলা উপজেলায় আওয়ামী লীগের মো. আকরাম হোসেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিয়তায় নির্বাচিত হন। আর নৌকা প্রতীক নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে ডুমুরিয়ায় ভোটগ্রহণ স্থগিত রয়েছে।
বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী, রূপসা উপজেলায় নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের কামাল উদ্দিন বাদশা ২৯ হাজার ১২৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আলী আকবর শেখ পেয়েছেন ১৩ হাজার ১৫৬ ভোট।
দাকোপ উপজেলায় চিংড়ী মাছ প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মুনসুর আলী খান ৩১ হাজার ৬৮৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শেখ আবুল হোসেন পেয়েছেন ২৭ হাজার ৮৮১ ভোট।
তেরখাদা উপজেলায় দোয়াতকলম প্রতীকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শহিদুল ইসলাম ৩২ হাজার ৩৩০ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু পেয়েছেন ১৬ হাজার ৩৩৯ ভোট।
কয়রা উপজেলায় আনারস প্রতীকে ৪৪ হাজার ৭৭ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এসএম শফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জিএম মহসিন রেজা পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৮২৯ ভোট।
পাইকগাছায় নৌকা প্রতীকের গাজী মোহাম্মদ আলী ৩৪ হাজার ১৯৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী শেখ মনিরুল ইসলাম পেয়েছেন ১৭ হাজার ২৩৪ ভোট।
দিঘলিয়ায় আনারস প্রতীকের শেখ মারুফুল ইসলাম ১৭ হাজার ৮৬৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত খান নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ১৬ হাজার ৩১ ভোট।