খুলনার কয়রা ঘড়িলালে নকল জন্ম সনদে নবম শ্রেনীর ছাত্রীর বাল্য বিবাহ সম্পন্ন

0
324

টাইমস ডেস্ক:
খুলনার কয়রা ঘড়িলালে নকল জন্ম সনদে নবম শ্রেনীর ছাত্রীর বাল্য বিবাহ সম্পন্ন। প্রশাসনকে বোকা বানালো দক্ষিন বেদকাশী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান কবি সামছুর রহমান। গত শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে। জানাযায়, উপজেলার দক্ষিন বেদকাশী ইউনিয়নের ঘড়িলাল গ্রামের সামাদ খানের কন্যা রতনা খাতুনের সাথে গোলখালী গ্রামের নজরুল গাজীর পুত্র ইমরান হোসেনের সাথে শুক্রবার দুপুরে পারিবারিক ভাবে বিবাহের দিন ধার্য্য হলে তার পূর্বের দিন বৃহস্পতিবার জাগজমক পূর্ণ ভাবে কন্যার গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। কিন্তু কন্যা ৯ম শ্রেনী পড়–য়া এবং বয়স কম থাকার বিষয়টি একটি গোপন সুত্রে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেশ বিশ্বাসকে জানানো হয়। তখন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি কয়রা থানার মাধ্যমে পাশ্ববর্তী ক্যাম্পের দায়িত্বরত এসআই শহিদুল ইসলামকে জানান। ক্যাম্প পুলিশের পক্ষে বিষয়টি তদন্তে গেলে কন্যার পক্ষ অন্য একটি জন্ম সনদ দেখানো হয়। এব্যপারে কাঠকাটা ক্যাম্পের দায়িত্বরত এসআই শহিদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কন্যার বাড়িতে গেলে তারা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সত্যায়িত সিল মারা একটি জন্ম সনদ দেখান। যাতে কন্যার জন্ম তারিখ ০৬/০৭/২০০২। আমার কাছে তার কপি আছে। এবিষয়ে দক্ষিন বেদকাশী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পারভীন আক্তার বানু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, রতনা খাতুন আমার বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেনীতে পড়ে। এদিকে দক্ষিন বেদকাশী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান কবি সামছুর রহমানের কাছে বিষয়টি জানার জন্য মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করেও তার সাথে কথাবলা সম্ভব হয়নি। অপর দিকে, কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেশ বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান নকল জন্ম সনদ দিয়ে থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।