খুলনার উন্নয়নে আসন্ন জাতীয় বাজেটে অধিক অর্থ বরাদ্দের দাবী জনউদ্যোগ’র

0
970

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ২০১৮-১৯ জাতীয় বাজেটে খুলনা উন্নয়নে অধিক অর্থ বরাদ্দের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১১ টায় জনউদ্যোগ,খুলনার উদ্যোগে সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, খুলনায় পাইপ লাইনে গ্যাস সরবরাহ, আধুনিক রেলস্টেশন, দ্রæত মাওয়ায় পদ্মা সেতু শুরু, মংলা বন্দর আধুনিকায়ন, বিমান বন্দর নির্মান, জেলা স্টেডিয়াম সংস্কার, নিউজপ্রিন্ট মিলসহ বন্ধ কলকারখানা চালু, শিল্পকলা একাডেমি, আকরাম পয়েন্টে গভীর সমুদ্রবন্দর, ভোমরাকে আর্ন্তজাতিক স্থল বন্দর, খুলনা টেক্সটাইল পল্লী, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রæত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ স্কুল, কলেজ সরকারি করণ এর জন্য জাতীয় বাজেটে অধিক অর্থ বরাদ্দ ও বাস্তবায়নের দাবী জানানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জনউদ্যোগ,খুলনার আহবায়ক এ্যাড: কুদরত-ই-খুদা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. আ. ফ. ম. মহাসিন, কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় নেতা শ্যামল সিংহ রায়, ওয়ার্কার্স পার্টির মফিদুল ইসলাম, বেলার বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমান মুকুল, সেফের আসাদুজ্জামান, নারী নেত্রী শামীমা সুলতানা শীলু, জনউদ্যোগ খুলনার সদস্য সচিব মহেন্দ্র নাথ সেন প্রমুখ।

দাবিসমূহ হচ্ছে, খুলনায় পাইপ লাইনে গ্যাস সরবারহ ও ডিস্ট্রিবিউশন লাইন স্থাপনের ফেলে রাখা কাজ সমাপ্ত করতে সিদ্ধান্ত নিয়ে আসন্ন বাজেটে বরাদ্দ দিতে হবে। খুলনায় আধুনিক রেল স্টেশনের কাজ দ্রæত শেষ , খুলনা-দর্শনা ডবল রেল লাইন নির্মাণ ও ঢাকা-খুলনা দ্রæতগামী আরো একটি ট্রেন সার্ভিস চালু। খুলনা-মংলা রেললাইন স্থাপন (সড়ক সেতুসহ) খুলনা-সাতক্ষীরা-সুন্দরবন-মুন্সিগঞ্জ পর্যন্ত রেললাইন স্থাপন করতে হবে; খুলনায় বিমানবন্দর নির্মাণ করতে হবে; মাওয়ায় পদ্মা সেতু কাজ সময়মত শেষ করতে হবে; মংলা বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন এবং মোট আমদানির ৪০ ভাগ মংলা বন্দরের মাধ্যমে করার বাধ্যতামূলক বিধান করতে হবে; আকরাম পয়েন্টে গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে; খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে রাজস্ব খাতে অন্তরভুক্তি ও ১০০০ বেডে উন্নিত এবং পোষ্ট গ্রাজুয়েশন কোর্স চালু, শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালটি পূর্ণাঙ্গ ভাবে চালু করা; ক্যাডেট কলেজ ও মেরিন একাডেমি স্থাপন, খুলনায় আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে আধুনিক জেলখানা নির্মাণ কাজ দ্রæত শেষ করতে হবে। খুলনা সিটি কর্পোরেশনে অবকাঠামো উন্নয়নে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ, পাবলিক হল দ্রæত আধুনিকায়ন পূণনির্মাণ; নিউজপ্রিন্ট মিলসহ বন্ধ কল-কারখানা চালু করতে হবে। দ্রæত মামলা নিষ্পত্তি করে খুলনা টেক্সটাইল মিলের জায়গায় টেক্সটাইল পল্লী গড়ে তোলার জন্য সহায়ক পরিসেবা (বিদ্যুৎ, টেলিফোন, পানি) এবং কর অবকাশ সুবিধা (ট্যাক্স হলিডে) দিতে হবে;
মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ভোমরা পর্যন্ত মহাসড়ক নির্মাণ করে ভোমরা স্থলবন্দরকে আন্তর্জাতিক বন্দরে উন্নীত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রæত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় দ্রæত বাস্তবায়ন করতে হবে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) অবকাঠামো উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দ করতে হবে। খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটের মরে যাওয়া নদী ও খালগুলো পুনর্খনন, আড়াআড়ি বাঁধ ও পাটা অপসারণ এবং জোয়ারাধার তৈরি করে স্বাদুপানির প্রবাহ ও নৌ চলাচল স্বাভাবিক করতে হবে এবং খুলনা-ঢাকা স্টিমার সার্ভিস সচল রাখার জন্য নৌযানের আধুনিকায়ন এবং চ্যানেল খনন করতে হবে। আইলাদুর্গতদের পুনর্বাসন, খাদ্য ও কৃষি সহায়তা এবং টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণসহ স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা করতে হবে; খুলনা গোয়ালপাড়া ১১০ ও ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র দুইটি অবিলম্বে পূর্ণাঙ্গ সংস্কার জরুরী ও ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন; খুলনা মহানগরীর সাথে দিঘলিয়ারÑরূপসাÑতেরখাদার সংযোগের জন্য ভৈরবÑআত্রাইÑআঠেরোবাকি নদীর উপর আধুনিক প্রযুক্তিতে সড়কসেতু নির্মাণ। মুজগুন্নি পর্যটন মোটেলের নির্মাণ কাজ দ্রæত শুরু করা, পর্যটন শিল্পের বিকাশ ও দ্রæত উন্নয়নের লক্ষ্যে সুন্দরবনকে ঘিরে খুলনা-বাগেরহাট-সাতক্ষীরাতে পর্যটন শিল্প গড়ে তোলা। খুলনায় কেন্দ্রিয় পার্ক, চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন স্থাপন (প্রায় ২০০ বছরের পুরাতন খুলনা, ১৭ লক্ষ অধিবাসির এই শহরের সময়ের চাহিদা)। খুলনা শহর রক্ষা বাধ ও রূপসা ব্রিজ থেকে রুজবেল্ট জেটি হয়ে রেলিগেট পর্যন্ত রূপসা ও ভৈরব নদীর তীর ঘেষে রিভার ভিউ পার্ক ও রোড নির্মণ। খুলনা, দাকোপ ও নলিয়ান সড়ক দ্রæত নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে হবে। খুলনা যশোর মহাসড়ক সংষ্কার ও ৪ লেনে উন্নিত করণ। খুলনা জোড়া গেইট থেকে ফুলতলা পর্যন্ত রোড ডিভাইডারসহ ৬ লাইনে উন্নিত করণ। জেলা ভিত্তিক বাজেট করতে হবে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ভর্তুকি-মূল্যে সিলিন্ডারে গ্যাস সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে এবং খুলনা ওয়াশার কাজ দ্রæত সম্পন্ন করতে হবে।