খুবির সমাবর্তনে ২৪ জন গ্রাজুয়েটকে চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক প্রদান করা হবে

0
461
????????????????????????????????????

নিজস্ব প্রতিবেদক: সোমবার বেলা ১২টায় শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসন ভবনের সিনেট কক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামানের সভাপতিত্বে আগামী ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ৬ষ্ঠ সমাবর্তন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে এক প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি জানান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করতে সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। শিক্ষামন্ত্রী এবং ইউজিসির চেয়ারম্যান বিশেষ অতিথি থাকবেন। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. অনুপম সেন সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখবেন।
এবার সমাবর্তনে ৩৯৭৩ জন কনভোকি অংশ গ্রহণ করার জন্য রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন। কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য ২৪ জন গ্রাজুয়েটকে চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক প্রদান করা হবে। যেহেতু এই সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি সভাপতিত্ব করবেন তাই অনুষ্ঠানের মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্য অক্ষুন্ন রেখে উপাচার্য আসন্ন সমাবর্তন সফল করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। এই সমাবর্তনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে এবং সার্বিক কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সাম্প্রতিক ঘটনাবলী প্রসঙ্গে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ এবং উপাচার্য হিসেবে তাঁর অবস্থান ও গৃহীত পদক্ষেপ এবং ব্যবস্থাবলীর কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ জন সম্মানিত শিক্ষক কবি জীবনানন্দ দাশ একাডেমিক ভবন, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলসহ কয়েকটি অনিয়ম বিষয়ে তুলে ধরে সম্প্রতি রেজিস্ট্রার বরাবর যে স্মারকলিপি দিয়েছেন সে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে কর্তৃপক্ষ দেখেছেন এর মধ্যে অনেক বিষয়েই ইতোমধ্যে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং কিছু বিষয় প্রক্রিয়াধীন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জীবনানন্দ দাশ একাডেমিক ভবনের একটি ফ্লোরের কয়েকটি কক্ষে নির্মাণ কাজের ত্রুটির অভিযোগ পাওয়ার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনসহ, টেকনিক্যাল কমিটি, দায়-দায়িত্ব নিরুপণ কমিটি গঠন করে। ইতোমধ্যে টেকনিক্যাল কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী কুয়েটের সিআরটিএস এর তত্ত্বাবধানে রেট্রোফিটিং এর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ সব কাজের যাবতীয় ব্যয় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রাপ্য অর্থ থেকেই পরিশোধ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ টিমের চূড়ান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ভবনটি এখন ঝুঁকিমুক্ত। বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সম্প্রসারণ কাজ চলমান রয়েছে যা এখনও ব্যবহার উপযোগী হয়নি। সে বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সংযুক্ত করে যে তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। তবে চলমান নির্মাণ কাজসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ব্যাপারে যদি অসঙ্গতি, ইচ্ছাকৃত ত্রুটি, অনিয়মের অভিযোগ দৃষ্টিগোচর হয় সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে বদ্ধপরিকর।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানান, যেহেতু দুদক খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উক্ত দুটি ভবনসহ নির্মাণকাজের অনিয়ম, ত্রুটি ও দুর্নীতি হয়ে থাকলে তা তদন্ত করে দেখছে সে কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের কাছে পত্র দিয়ে অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থা গ্রহণের কোনো বাধা আছে কিনা তা জানতে চেয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট হাতে রয়েছে। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ দুদকের পত্রের জবাবের অপেক্ষায় রয়েছেন। খুব শীঘ্রই বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।