খুবির চারুকলার শিল্পীদের শিল্পকর্ম একদিন বিশ্বজুড়ে সুখ্যাতি অর্জনে সক্ষম হবে

0
601

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের চারদিনব্যাপী বার্ষিক শিল্পকলা প্রদর্শনীর উদ্বোধন রোববার বিকেল ৪টায় চারুকলা ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে কবি কাজী নজরুল ইসলাম কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের নীচ তলায় করা হয়। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. আহমেদ আহসানুজ্জামান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ ও চারুকলা ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক প্রফেসর ড. আফরোজা পারভীন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রিন্টমেকিং ডিসিপ্লিনের প্রধান ড. নিহার রঞ্জন সিংহ। শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনুভুতি ব্যক্ত করেন ঐন্দ্রিলা হাজরা। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রখ্যাত শিল্পী শশিভুষণ পাল এবং শিল্পী শেখ আলাউদ্দিন আহমেদের সংক্ষিপ্ত জীবন ও কর্ম তুলে ধরেন শিক্ষার্থী নিশাদ সাদিয়া নিশা।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ট্রেজারার সাধন রঞ্জন ঘোষ বলেন শিল্পের শুরুটা মানব সভ্যতার প্রারম্ভেই। মানুষ তখন দেয়ালে রেখা টেনে, দেয়াল কেটে, অঙ্কন করে চিত্রশিল্পের মাধ্যমেই তার মনের ভাব ও অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তুলেছে। সাহিত্যের মূলকেন্দ্রে, রূপান্তরের মধ্যেও চিত্রশিল্প রয়েছে। বাংলাদেশ তথা ভারতবর্ষে চারুকলার একটা নিজস্বতা রয়েছে। বাঙালির নান্দনিক ভাবনায় শিল্পকলা রয়েছে। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রতিশ্রæতিশীল শিল্পীরা অনুপ্রাণিত হবে এবং ভবিষ্যতে বড়মাপের শিল্পী হিসেবে তারা বিশ্বময় আত্মপ্রকাশ করতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অপর বিশেষ অতিথি ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক প্রফেসর ড. আফরোজা পারভীন বলেন চারুকলা আমাদের প্রাণের জায়গা। আমাদের চারুকলার শিকড় অনেক গভীরে গ্রথিত, অন্য বিষয়ের চেয়ে বেশি পুরাতন। তিনি বলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৯ সালে চারুকলা শুরু হয়েছে। এর আগের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং পরের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা যুক্ত হওয়ার পর নির্মিত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সৃজিত হয়েছে। সৃজনশীল কর্মকাÐ বহুগুণে বেড়ে গেছে। এখন বাংলানববর্ষ, মহান একুশেসহ বড় বড় সকল আয়োজনে চারুকলার শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা ও দায়িত্বপালন করে থাকে।

তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা শিক্ষাকে বিশ্বমানে উন্নীত করা এবং বিশ্বময় পরিচিতি প্রসারিত করার জন্য কয়েকটি দিকনির্দেশনা দেন। সভাপতির বক্তব্যে ইনস্টিটিউটের পরিচালক এ প্রদর্শনী আয়োজনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং শিল্পী শশিভুষণ পাল গ্রান্ড পুরস্কারসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ২৯টি পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। পরে অতিথিবৃন্দ মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন এবং বিভিন্ন শিল্পকর্ম ঘুরে দেখেন। এছাড়া উদ্বোধনী দিনে বাউল সঙ্গীতের আয়োজন করা হয়।

উল্লেখ্য, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের অন্তর্গত ড্রইং এ্যান্ড পেইন্টিং, প্রিন্টমেকিং ও ভাষ্কর্য ডিসিপ্লিনের বর্তমান শিক্ষার্থী ও পুরাতন ০২(দুইটি) ব্যাচের শিক্ষার্থীবৃেন্দর সৃজনশীল কাজ নিয়ে এই বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী ২০১৮ এর আয়োজন করা হয়েছে। আগামীকাল ২৬ ফেব্রæয়ারি বিকেল ৫.৩০টায় চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ২৭ ফেব্রæয়ারি সন্ধ্যা ৭ টায় ইংরেজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মঞ্চায়িত হবে নাটক হ্যামলেট। ২৮ ফেব্রæয়ারি সকাল ১০.৩০ টায় পুরস্কার বিতরণী এবং অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা বিকেল ৫.৪৫ টায়। শিল্পকর্ম প্রদর্শনী চলবে প্রতিদিন বেলা ১২ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত।#