খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া রাজনৈতিক সংকট নিরসনের পথ নেই : মঞ্জু

0
566

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর সভাপতি সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, দেশে যে গণতন্ত্রের সংকট তৈরি হয়েছে তা থেকে উত্তরণে তাকে মুক্তি দেয়া ছাড়া সরকারের সামনে আর কোন পথ খোলা নেই। কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণ করে তিনি বলেন, বিএনপিকে শান্তিপূর্ণ ও জনসম্পৃক্ত কর্মসূচি পালন করতে দেখে যদি আওয়ামী লীগ মনে করে আমাদেরকে বাইরে রেখে আর একটি এক তরফা নির্বাচন করবে, তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। একদলীয় বাকশালী নির্বাচন আয়োজনের পায়তারা করা হলে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হবে যা সামাল দেয়া সরকার কিংবা তার পেটোয়া পুলিশ বাহিনীর নেই। তিনি নিরীহ রাজনৈতিক কর্মীদের প্রতি পুলিশের চালানোর দমননীতির জোর সমালোচনা করে বলেন, খালেদা জিয়ার মামলার রায়কে কেন্দ্র করে যে দমননীতি শুরু হয়েছিল, তা এখনও অব্যাহত আছে। প্রতিনিয়ত বাড়ি বাড়ি তল্লাশি, গ্রেফতার, পরিবারের সদস্যদের সাথে দুর্ব্যবহার ও ঘরবাড়ি তছনছ করার ঘটনা ঘটছে। তিনি অবিলম্বে এই দমন-পীড়ন বন্ধের দাবি জানিয়ে অবিলম্বে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, তার ভাই, খুলনা বিএনপি নেতা সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, মেহেদী হাসান দীপু, শামসুজ্জামান চঞ্চল, সাতক্ষীরা বিএনপি সভাপতি পলাশ সহ গ্রেফতারের শিকার সকল নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
চেয়ারপারসন ও সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদাণ কর্মসূচির পূর্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। রবিবার বেলা ১২ টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয় কার্যালয় চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বেশ কয়েকদিন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকার পর আজকের এই কর্মসূচিকে ঘিরে পুলিশ ছিল মারমুখি অবস্থানে। সকাল থেকেই দলীয় কার্যালয় কিংবা অদূরে ডিসি অফিস এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মী ছাড়াও কোন সাধারণ মানুষকে দাড়াতে দেয়নি পুলিশ। দীর্ঘ সময় বিএনপি নেতাদের সাথে পুলিশের বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে হাজার হাজার নেতাকর্মী সেখানে হাজির হলে হয়ে বিক্ষোভ শ্লোগান দিলে পুলিশ পিছু হঠতে বাধ্য হয়।
এদিকে জেলা প্রশাসককে দেয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়, জাল নথির ওপর ভিত্তি করে সাজানো মামলায় প্রতিহিংসামূলক বিচারে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে কারাগারে বন্দী করা হয়েছে। বানোয়াট মামলায় বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে সাজা প্রদান সম্পূর্ণরুপে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ভিত্তিহীন, তাই তাঁর বিরুদ্ধে ঘোষিত রায়টিও প্রহসনমূলক ও বিস্ময়কর। কারন জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্টের টাকা তসরুপের কোন ঘটনাই ঘটেনি, বেগম জিয়ার কোথাও কোন স্বাক্ষর নেই এবং কোথাও তাঁর কোন সংশ্লিষ্টতাও নেই।
বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায় ঘোষনাকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন আগে থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত দেশব্যাপী বিএনপি নেতাকর্মীদের ধরপাকড় ও জুলুম অব্যাহত আছে। বিএনপি’র শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সরকারের আচরণই বলে দেয়-তারা তাদের কাঙ্খিত দুরভীসন্ধিমূলক রায়টি পেয়ে গেছে।
কথিত বিচারের নামে সাজা দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো সরকারের হীন সুুদুরপ্রসারী পরিকল্পনারই অংশ। বহুদলীয় গণতন্ত্রকে চিরদিনের জন্য বিদায় করে আগামী নির্বাচন পুনরায় একতরফাভাবে করতে একদলীয় দু:শাসনকে চিরস্থায়ী করাই এদের মূল লক্ষ্য। এই ফরমায়েসী রায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করার এক হিংসাশ্রয়ী পরিকল্পনা।
যে নেত্রী গণতন্ত্রের জন্য, নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য অবিরাম সংগ্রামে অবিচল নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাঁকে কখনোই তাঁর জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না।
দেশে এক দু:সহ অবস্থা বিরাজ করছে বলেই ন্যায়বিচার, ইনসাফ অদৃশ্য হয়ে গেছে। বেগম জিয়াকে কারাগারে বন্দী করেও তাঁর ওপর চালানো হচ্ছে অমানবিক নির্যাতন। দুই শতাব্দী প্রাচীন জনমানবহীন জরাজীর্ণ ও পরিত্যক্ত ভবনে তাঁকে অন্তরীণ করে রাখা হয়েছে। তিনি সেখানে কী অবস্থায় আছেন সেটি নিয়েও পরস্পরবিরোধী কথা বলছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও মন্ত্রীরা। এক অমানবিক আদিম নিষ্ঠুরতার শিকার হয়েছেন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
বেগম জিয়ার ওপর সকল প্রকার হয়রানী ও হেনস্তার অবসান ও নি:শর্ত মুক্তির জন্য প্রহর গুণছে দেশবাসী। আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি খুলনা মহানগর শাখার নেতাকর্মীরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে নি:শর্ত মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি এবং তাঁর ওপর সব ধরনের নির্যাতনমূলক কর্মকান্ড থেকে সরকারকে বিরত থাকার জন্য আপনার মাধ্যমে আহবান জানাচ্ছি।
কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন কেসিসির মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন, বিএনপি নেতা সাবেক এমপি কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, সাবেক এমপি মুজিবর রহমান, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশারফ হোসেন, মোল্লা আবুল কাশেম, এ্যাড. বজলুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম মেঝো ভাই, শাহজালাল বাবলু, শেখ খায়রুজ্জামান খোকা, স ম আব্দুর রহমান, শেখ জাহিদুল ইসলাম, শেখ ইকবাল হোসেন, ফখরুল আলম, এ্যাড. ফজলে হালিম লিটন, জামায়াতে ইসলামীর মহানগর সহকারী সেক্রেটারি এ্যাড. শাহ আলম, বিজেপির মহানগর সাধারণ সম্পাদক সিরাজউদ্দিন সেন্টু, মুসলিম লীগের মহানগর সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আখতার জাহান রুকু, খেলাফত মজলিসের মহানগর সেক্রেটারি মাওলানা নাসিরউদ্দিন, জেপি (জাফর) সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, বিএনপি নেতা অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, শফিকুল আলম তুহিন, শাহিনুল ইসলাম পাখী, আজিজুল হাসান দুলু, মহিবুজ্জামান কচি, এ্যাড. মাসুদ হোসেন রনি, এ্যাড. গোলাম মাওলা, ইকবাল হোসেন খোকন, সাদিকুর রহমান সবুজ, শেখ সাদী, মাসুদ পারভেজ বাবু, ইউসুফ হারুন মজনু, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, সাজ্জাদ হোসেন তোতন, একরামুল কবীর মিল্টন, একরামুল হক হেলাল, হাসানুর রশিদ মিরাজ, আব্দুল অজিজ সুমন, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, শরিফুল ইসলাম বাবু, হেলাল আহমেদ সুমন, জহর মীর, আবুল কালাম শিকদার, এ্যাড. মশিউর রহমান নান্নু, বেলায়েত হোসেন, হাফিজুর রহমান মনি, শমসের আলী মিন্টু, শেখ ফারুক হোসেন, এইচ এম এ সালেক, শেখ জামিরুল ইসলাম, মুজিবর রহমান ফয়েজ, শেখ ইমাম হোসেন, শরীফুল আনাম, নাসির খান, রবিউল ইসলাম রবি, লিটন খান, জাহিদ কামাল টিটো, আরিফ খান, এইচ এম আসলাম, ইমতিয়াজ আলম বাবু, আনসার আলী, আনিসুর রহমান আরজু, সিরাজুল ইসলাম মানিক, জাহিদুর রহমান রিপন, মাওলানা আব্দুল গফফার, মোহাম্মদ আলী, আনজিরা বেগম, হাসনা হেনা, আফরোজা জামান, রোকেয়া ফারুক, জামাল মোড়ল, মনিরুল ইসলাম প্রমুখ। #