খালিশপুরে চিহ্নিত দেহ ব্যবসায়ী মরিয়মসহ কাটিং চক্রের ৪ সদস্য আটক

0
950

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ খুলনা মহানগরীর খালিশপুরস্থ নয়াবাটি এলাকার চিহ্নিত দেহ ব্যবসায়ী মরিয়ম (৪০)সহ ব্ল্যাকমেইল গ্রুপের চার সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি ভাড়াটিয়া বাসা থেকে তাদের আটক করা হয়। তবে, মনি খাতুন নামে এক যুবতীকে অপহরণে করে ওই বাড়িতে আটক রাখার অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে ঘটনার নেপথ্যের স্থানীয় একটি প্রভাবশালী যুবলীগ পরিবারের সম্পৃক্ততার ও বিপুল পরিমান স্বর্ন ও নগত টাকা করনে নেপথ্যে যারা রয়েছে তাদের অজ্ঞাত কারেন ওসি তাদের গ্রেফতার করছেনা বলে অভিযোগ উঠছে। এ চক্রটির সাথে থানা পুলিশের কতিপয় সদস্যর মাসোয়ারা থাকার কখনো পুলিশ সন্ত্রাসী চক্রের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহন না করার ফলে তাদের দৌরাত্ব দিনকে দিন বেড়েই চলছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান ।
খালিশপুর থানার ওসি সরদার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আটককৃতরা কাটিং গ্রুপের সদস্য। একটি মেয়েকে এনে পুরুষ দিয়ে অসামাজিক কাজ করিয়ে আবার লোকজন জড় করে কাটিং করার চেষ্টা করছিল স্থানীয় সন্ত্রাসী চক্রটি। এটি-টু নাইনটি কেস। আজ তাদের আদালতে প্রেরণ করা হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, আটককৃতরা হচ্ছে নয়াবাটি গোলচত্বর এলাকার হুমায়ূন কবিরের স্ত্রী মরিয়ম, দক্ষিণ টুটপাড়াস্থ মোল্লাপাড়ার হুজুর মোল্লার ভাড়াটিয়া আব্দুল হামিদের স্ত্রী সোনিয়া (২৪), খালিশপুরের আলমনগর পোড়া মাটির মসজিদ সংলগ্ন রেললাইন এলাকার নূরুজ্জামানের পুত্র নূর আলম (৩২)। এছাড়া এ সময় মনি খাতুন নামে এক যুবতীকেও ঘটনাস্থল থেকে থানায় নেওয়া হয় বলে সূত্র জানিয়েছে।খালিশপুর থানার সেকেন্ড অফিসার কানাই লাল মজুমদার বলেন, একটি মেয়েকে ধরে এনে আটক করে রাখা হয়েছে- মর্মে ওসি স্যারের নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়ে ৩ জনকে আটক করেছি। তবে, আটক রাখার কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে,মহিলা নেত্রীর ছদ্দবেশে মরিয়ম দির্ঘ দিন ধরে নয়াবাটি এলাকায় নারী দিয়ে দেহ ব্যাবসা করান । তার সাথে রয়েছে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সু-সম্পর্ক । আর এই সন্ত্রাসীর আশ্রয়ে থেকে মরিয়ম দেহ ব্যাবসার পাশাপাশী বড় টাকা আলা খদ্দেরদের কাটিং করে হাতিয়ে নেয় মোটা অংকের টাকা । আর এ টাকার সিংহ ভাগই গ্রহন করে আশ্রয় দেয়া সন্ত্রাসী । এ চিহৃিত সন্ত্রাসীর যন্ত্রনায় ওই এলাকায় কোন ভাড়াটিয়া তাদের অল্পবয়সি মেয়ে নিয়ে বসবাস করতে পারেনা । নতুন কোন ভাড়াটিয়া বা মেয়ে এলেই ওই সন্ত্রাসী জোর পূর্বক ভোগ করলেও এলাকার কেহ তার ভয়ে মূখ খোলেনা । মাদকের তালিকাভূক্ত এ সন্ত্রাসী কিভাবে এলাকায় প্রকাশ্যে এ অপকর্ম করে ঘুরে বেড়ায় তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীরা ।