কয়রায় সন্ত্রাসী হামলায় ভাংচুর : আহত-৩

0
231

কয়রা প্রতিনিধি:
জমির বিরোধ নিয়ে খুলনার কয়রায় বসত বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সন্ত্রাসী মাহমুদ বাহিনী ধারালো দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে প্রতিপক্ষকে বেধড়ক মারপিট ও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ৩ জনকে গুরুতর আহত করে। এতে আশংকাজনক অবস্থায় আহতরা খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
গত সোমবার দুপুরে কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের দেয়াড়া গ্রামে ইউনুস আলী গাজীর বাড়িতে এ নৃশংস হামলার ঘটনাটি ঘটে। প্রকাশ্য দিবালোকে হামলায় নেতৃত্ব দেন একই গ্রামের মাহমুদ মাওলা ওরফে ডন মাহমুদ(৫৫)। তার প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে সহযোগী আওয়াল (৩৫), তাদের ভাগ্নে রাসেল (২৫), মোঃ কামরুল (২৪) সহ ১০ থেকে ১২জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা ভয়াবহ হামলা চালায়। এতে প্রতিপক্ষকে মাথায়, বুকে ও পিঠে দা, কুড়ালের কোপে মারাত্মকভাবে ইউনুস আলী গাজী (৪০), তার ছেলে আজিজুল ইসলাম (২৮) এবং আনিচকে আহত করেন।
পরে গ্রামবাসীরা আহতদের আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে সোমবার রাতেই তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এলাকাবাসী ও প্রতক্ষ্যদর্শী সূত্রে জানা যায়, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের মাহমুদ মাওলা ওরফে ডন মাহমুদের নেতৃত্বে তার সন্ত্রাসী দুর্বৃত্তরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র দা, কুড়াল, চাপাতি নিয়ে একই গ্রামের ইউনুস আলী গাজীর বসত বাড়ির গেট, ঘরে ভাংচুর করে। এসময় বাড়ির মালিক ইউনুস ও তার ছেলে আজিজুল এবং আনিচকে কুপিয়ে জখম করে। তাদের মুমূর্ষু নিদারুণ চিৎকারে ভারি হয়ে ওঠে দেয়াড়ার বাতাস। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডন মাহমুদ তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ইউনুসের বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে এখনো কাউকে আটক করা হয়নি।
এবিষয়ে মাহমুদ মাওলা ঘটনার সত্যতা অস্বীকার করে বলেন, ” এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। আমার প্রতিপক্ষরা আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য পায়তারা চালাচ্ছে। কিন্তু হামলায় অংশ নেওয়া আওয়াল বলেন ভিন্ন কথা। তিনি মুঠো ফোনে জানান, ইউনুস আলী গাজী মাহমুদ মাওলা ভাইয়ের ওপর হামলা করেন। আমি হামলা ঠেকাতে গিয়ে মারাত্মকভাবে হাতে আঘাত পাই। কিন্তু সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা গেছে, এলাকায় একাধিক মামলার আসামী সহ বখাটেদের সংঘবদ্ধ করে ডন মাহমুদ একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ গড়ে তুলেছে। এ সন্ত্রাসী দলটি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় নিরীহ মানুষের ওপর হামলা, লুটপাট, মারধর, নির্যাতন সহ হয়রানি করে আসছে। ডন মাহমুদের ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহসও পায় না। এ যেন নোয়াখালীর মতো আরেক দেলোয়ার বাহিনী। ডন মাহমুদের নামে একাধিক মামলাও রয়েছে। ডন মাহমুদের অপকর্মের কেউ প্রতিবাদ করলে তার উপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দায়ের ভয় সহ জীবননাশের হুমকি।
এব্যাপারে কয়রা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ রবিউল হোসেন বলেন, “এ ব্যাপারে কেউ এখনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে সত্যতা যাচাই করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”