কয়রায় বেশি দামে লবণ বিক্রয় করায় ৪ ব্যবসায়ীকে জরিমানা 

0
711
ওবায়দুল কবির সম্রাট (কয়রা)খুলনা:
খুলনার কয়রায়  লবণের দাম বৃদ্ধির গুজব ছড়ানো হয়েছে মঙ্গোলবার বিকালের পর থেকেই। এই গুজবে ফায়দা লুটছে অসৎ ব্যবসায়ীরা। অতিরিক্ত দামে লবণ বিক্রি করায় ৪ ব্যবসায়ীকে মোট ৪২ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
 কয়রায় বেশি দামে লবণ বিক্রয় করায় ১৯ নভেম্বর মঙ্গোলবার বিকাল  ৫  টায় কয়রা সদরসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাইকারি,খুচরা বাজারসহ   উপজেলার বিভিন্ন দোকানে উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরে- ই আলম সিদ্দিকির নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
লবণের মূল্যবৃদ্ধির গুজব ছড়িয়ে পড়ে  কয়রা উপজেলায়  এ সুযোগে কয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ী কয়েক গুণ বেশি দামে লবণ বিক্রি শুরু করেন। প্রতি কেজি ৩০-৩৫ টাকার লবণ ৪০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রির ঘটনা ঘটে।অভিযান কালে  কৃত্রিম সংকট তৈরি করে যে লবণ  ৮ টাকা প্যাকেট বিক্রয় করার কথা থাকলেও  ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা প্যাকেট বিক্রয় করা,প্রতি কেজি ৩০-৩৫ টাকার লবণ ৪০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রির ঘটনা ঘটে ও বিভিন্ন কোম্পানির লবণ বিক্রয় মূল্য থেকে বেশি নেওয়ায় উত্তর বেদকাশীর আলমগীর ষ্টোরের মালিক আলমগীরকে ৩০,০০০ টাকা অনাদায়ে ২ মাস জেল,মদিনাবাদের শাজাহান ষ্টোরকে ৫০০০ টাকা অনাদায়ে এক মাস জেল।,আবুল কালাম ষ্টোরকে ২০০০ টাকা অনাদায় ১ মাস জেল, রেজাউল করিম ষ্টোরকে ৫০০০ টাকা  অনাদায়ে ১ মাস জেল ভোক্তা সংরক্ষণ অধিকার আইনে ৩৮ ধারায় জরিমানা করা হয়। এ সময় অন্যান্য খুচরা দোকানগুলোকে পণ্যের বাড়তি দাম নেওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করে দেওয়া হয় এবং দোকানে পণ্যের মূল্য তালিকা ঝুলিয়ে দিতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। নিয়মিত বাজার মনিটরিং কার্যক্রমের অংশ হিসাবে এবং সাম্প্রতি কৃত্রিম সংকট বাধিয়ে লবণের দাম বেশি রাখায় কয়রা উপজেলা  ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়েছে।
লবণ  সহ অন্যান্য পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট নুরে আলম সিদ্দিকি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন সাধারণ ক্রেতা সাধারণ।অভিযান কালে উপস্থিত ছিলেন কয়রা থানা অফিসার ইনচার্জ রবিউল হোসেন। এ সময় তিনি পাইকারি ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে সাধারণ জনগণ ও ক্রেতাদের গুজবে কান না দিয়ে সকলকে সচেতন হয়ে সচেতনতা মুলক বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন সাথে সাথে দ্রব্যের নির্ধারিত মূল্য ছাড়া বেশি নিলে থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনকে জানানোর অনুরোধ জানান। অভিযান কালে আরও উপস্থিত ছিলেন, কয়রা থানা সেকেন্ড অফিসার আসাদুল ইসলাম, এএসআই আবু সুফিয়ানসহ থানা পুলিশের একটি টিম ও  পেশকার আনিছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।