কয়রায় বাজার মনিটরিং কার্যত্রম অব্যাহত :জেল ও জরিমানা আদায় 

0
650
ওবায়দুল কবির (সম্রাট):কয়রা (খুলনা)প্রতিনিধি :
কয়রা উপজেলা প্রশাসন   বাজার মনিটরিং এর  মাধ্যমে  সকল পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক এবং স্থিতিশীল রাখতে বাজার মনিটরিং ও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা অব্যাহত রেখেছে । নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ, অবাধ সরবরাহ অব্যাহত, প্রতিটি দোকানে মূল্য তালিকা টাঙ্গানো বাধ্যতামূলক করা, ভেজাল মুক্ত খাদ্য নিশ্চিত করতে ও চাল, ডাল, তেল, চিনি, মাছ, মাংস, ও ফলমুলসহ সকল পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক এবং স্থিতিশীল রাখতে উপজেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং টিম নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছে ।গত কয়েকদিন ধরে বাজারে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে দাম বেশি নেয়ার প্রমাণ পায়। আর এ কারণে প্রতিদিন অনেক ব্যবসায়ীকে জরিমানা দেয়া হচ্ছে। দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমনের ঝুঁকি বাড়ায জরুরী অবস্থা ঘোষনা হতে পারে এ আশঙ্কা থেকে ভোক্তাদের অনেকে ভোগ পণ্য আগাম কিনছেন। এই সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরাও পণ্যের বাড়তি দাম রাখছেন। এ  অবস্থায় নিত্যপ্রযোজনীয় পন্যের মূল্য যৌক্তিক রাখতে সোমবার  (২৩  মার্চ) সন্ধ্যায় কয়রায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এ সময়  ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৩ নং কয়রা ঝিলিয়াঘাটা বাজারে এক ভুয়া চিকিৎসক তার ডাক্তারি প্যাড ও ভিজিটিং কার্ড এবং সাইনবোর্ডে বিভিন্ন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রীর নামও ব্যবহার করে এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে চিকিৎসা দিয়ে  আসছিলেন। তার অপরাধে ৩ নং ছবির উদ্দিন এর ছেলে  ভূয়া ডাক্তার কামরুজ্জামানকে  ৩ মাসের জেল প্রদান করা হয় এ সময় ১ ফার্মেসিতে যৌন বর্ধক ঔষধ রাখা এবং ভেজাল পণ্য ও পণ্যের দাম বেশি রাখার অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৩টি ব্যবসা  প্রতিষ্ঠানকে ১৮০০০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ নূর-ই আলম সিদ্দিকী ও কয়রা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ রবিউল  হোসেন অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা আদায় করেন।এ সময়  স্যানিটারী ইন্সপেক্টর নারায়ণ রায়, পেশকার আনিছুর রহমানসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।এই সময় তারা জনসাধারণের উদ্দেশ্যে মুখে মাস্ক ব্যবহার করা, ময়লা হাত দিয়ে চোখ মুখ স্পর্শ না করা, বার বার হাত পরিষ্কার করাসহ কেউ যদি করোনা ঝুঁকির সন্দেহে থাকে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার জন্য জানান। তাছাড়া করোনা ভাইরাস রোধে সকল ধরণের জনসমাগম এড়িয়ে চলার জন্য অনুরোধ করা ও চায়ের দোকান গুলোকে বিকাল ৫ টার পর বন্ধ টিভি বন্ধ করতে কঠোর নির্দেশ প্রদান করেন।   এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিমুল কুমার সাহা বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, যারা এই করোনা ভাইরাস বা মানুষের অতিরিক্ত কেনাকাটার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করবে তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এছাড়াও জনগণ ও ক্রেতাদের অনুরোধ করব আপনারা একইসঙ্গে ২-৩ মাসের বাজার করবেন না। আপনারা সর্বোচ্চ ৭ দিনের বাজার করতে পারেন।সহকারী কমিশনার (ভূমি) নূর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, দেশে খাদ্য সংকট নেই।অথচ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী করোনার গুজব ছড়িয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরীর চেষ্টা করছে। তাই তা রোধে প্রশাসন তৎপর রয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে। কয়রা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ রবিউল হোসেন বলেন,  করোনা ভাইরাসের বিষয়ে আমরা জনগণকে সচেতন করতে মাইকিং  করেছি।লিফলেট বিতরণ করেছি। করোনা ভাইরাস নিয়ে গুজব না ছড়াতে জনগণকে অনুরোধ করছি।