কয়রায় বাজার মনিটরিং-এ জরিমানা আদায় টিম সরলেই বেড়ে যাচ্ছে মূল্য

0
281

কয়রা প্রতিনিধি: কয়রা উপজেলা প্রশাসন বাজার মনিটরিং এর মাধ্যমে সকল পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক এবং স্থিতিশীল রাখতে বাজার মনিটরিং অব্যাহত রেখেছে । নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ, অবাধ সরবরাহ অব্যাহত, প্রতিটি দোকানে মূল্য তালিকা টাঙ্গানো বাধ্যতামূলক করা, ভেজাল মুক্ত খাদ্য নিশ্চিত করতে ও চাল, ডাল, তেল, চিনি, মাছ, মাংস, ও ফলমূলসহ সকল পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক এবং স্থিতিশীল রাখতে উপজেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং টিম নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছে। গত কয়েকদিন ধরে বাজারে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে দাম বেশি নেয়ার প্রমাণ পায়। আর এ কারণে প্রতিদিন অনেক ব্যবসায়ীকে জরিমানা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু এতকিছুর পরও অসাধু ব্যবসায়ীদের অপতৎপরতা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।
মনিটরিং টিম সরলেই বেড়ে যাচ্ছে নিত্যপণ্যের দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদা অনুযায়ী বাজারে পণ্যের সরবরাহ নেই। আর এ কারণে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে, উপজেলা প্রশাসন দাবি করেছে বাজারে পণ্যের কোন সঙ্কট নেই। কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। আর এ কারণে বাজারে মোবাইল কোর্টের অভিযান অব্যাহত রাখা হবে। রবিবার দ্রব্যমূল্য বেশি রাখার অপরাধে ও ওজনে কম দেওয়ায় উপজেলা আমাদী বাজারে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ নূর-ই আলম সিদ্দিকী অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা আদায় করেন। এ সময় পেশকার আনিছুর রহমানসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কিন্তু এই অভিযানের পরও জিনিসপত্রের দাম কমছে না। কয়রায় বিভিন্ন বাজারে মোবাইল টিমের অভিযানের সময় জিনিসপত্রের দাম কমে যাচ্ছে। আবার টিম সরে পড়লে দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাচ্ছে।
গত কয়েকদিন ধরেই কয়রায় এই অবস্থা বিরাজ করছে। তবে ভোক্তারা জানিয়েছেন, শুধু কয়রা নয়, পুরো বাংলাদেশের চিত্র এটি। যতক্ষন বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয় কিংবা মোবাইল টিম থাকে ততক্ষন জিনিসপত্রের দাম সঠিক থাকে। টিম সরলেই ব্যবসায়ীরা আবার জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়রা বাজারের এক ক্রেতা বলেন, মোবাইল কোর্ট চলে যাওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে বাজারে আবার জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়। ব্যবসায়ীদের মানুসিকতার পরিবর্তন না হলে দাম কমবে না। মুনাফাখোর ব্যবসায়ীদের মধ্যে মানবতা নেই। ওরা মানুষের সঙ্কট পুঁজি করে ব্যবসা করে থাকে। এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিমুল কুমার সাহা বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, যারা এই করোনা ভাইরাস বা মানুষের অতিরিক্ত কেনাকাটার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করবে তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এছাড়াও জনগণ ও ক্রেতাদের অনুরোধ করব আপনারা একইসঙ্গে ২-৩ মাসের বাজার করবেন না। আপনারা সর্বোচ্চ ৭ দিনের বাজার করতে পারেন।