কয়রায় কৃষকেরা দুশ্চিন্তায়

0
314

ওবায়দুল কবির (স¤্রাট), কয়রা:
আষাঢ় মাস শেষ হয়ে শ্রাবণ চলে আসলেও কিন্তু আশানুরূপ বৃষ্টি না হওয়ার কারনে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের সহস্্রাধিক আমন চাষী দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। লবণাক্ত অধ্যুষিত সুন্দরবন উপকূলীয় কয়রা এলাকার কৃষকেরা এ বছর রোপা আমনের চাষাবাদ নিয়ে চরম হতাশায় ভুগছেন। কৃষকেরা জানিয়েছেন, এলাকার নদ-নদীর পানি লবণাক্ত হওয়ায় তাদের চাষাবাদের একমাত্র ভরসা বৃষ্টির পানি। অন্যান্য বছরগুলোয় মধ্য আষাঢ় নাগাদ বীজতলা তৈরীর কাজ শুরু করেন কৃষক। শ্রাবণের মাঝামাঝি সময়ে বীজতলা থেকে ধানপাতা তুলে নিয়ে নিজ নিজ ক্ষেতে ধান রোপনে ব্যস্ত সময় পার করেন তারা। কিন্তু এ বর্ষা মৌসুমে তার ব্যতিক্রম ঘটতে দেখা যাচ্ছে। মাঝে মধ্যে হালকা ছিটেফোটা বৃষ্টি হচ্ছে কিন্তু সে পানিতে বিলখাল ভরে উঠছে না। বিলের মাটি শুকনো থাকায় এখন পর্যন্ত কৃষক জমি চাষাবাদ শুরু করতে পারেনি। পানির অভাবে কেউ এখনো বীজতলা তৈরীর কাজও শুরু করতে পারেনি। ফলে রোপা আমনের চাষাবাদ নিয়ে রীতিমতো শংকিত হয়ে উঠছেন কৃষক।
এদিকে উপজেলা সদর সহ ৭টি ইউনিয়নের বিসিআইসির ডিলার ও সাবডিলারের দোকানগুলোয় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আমনের বীজের বেচাবিক্রির পরিমান কম। কয়রা পুরাতন বাজারের সাব ডিলার আনারুল ইসলাম জানায়, বৃষ্টি কম তাই পানি সংকটের কারনে কৃষকরা বীজতলার জমি প্রস্তুত করতে পারছে না। জমি প্রস্তত করতে না পারায় বহু কৃষক বীজ ক্রয় করছে না। একদিকে ধানের মূল্য কম তাতে আবার সময়মতো বৃষ্টির দেখা নেই এ অবস্থায় টাকা পয়সা খরচ করে জমিজায়গা চাষাবাদ করতে অনেকের অনিহা। কয়রা সদরের ৫নং কয়রা গ্রামের কৃষক রেজাউল করিম গাজী বলেন, আষাঢ় মাস শেষহয়ে গেলেও বৃষ্টি বাদলের দেখা নেই। কবে নাগাদ বৃষ্টির দেখা মিলবে সে অপেক্ষায় রয়েছি। মহারাজপুরের কৃষক হেলাল উদ্দিন বলেন, পর্যাপ্ত পানির অভাবে আমনের বীজতলা তৈরী শুরু করা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা কৃষি অফিসার এসএম মিজান মাহমুদ বলেন, দেরীতে হলেও নিশ্চয় আশানুরূপ বৃষ্টি হবে। সে সময় কৃষক তাদের জমিতে চাষাবাদ করে ধান রোপন করতে পারবে।