কয়রায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ছিনতাই মামলায় আদালতের সমন জারি

0
408

কয়রা প্রতিনিধি : কয়রা উপজেলার গিলাবাড়ী বাজারে গভীর রাতে ব্যবসায়ীর নিকট থেকে ৮০০ লিটার কেরোসিন সহ ৪৫ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে মহেশ্বরীপুর ইউপি চেয়ারম্যান বিজয় সরদারের বিরুদ্ধে মামালা করেছেন ব্যবসায়ী দীন বন্ধু সরদার। গত ৫ জুলাই উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের ভাগবা গ্রামের দীন বন্ধু সরদার বাদী হয়ে কয়রা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দাখিল করেন, যার নং- সি আর ১৪৫/১৮। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সোমবার ৩ জন আসামীর বিরুদ্ধে সমনের আদেশ দিয়েছেন। উক্ত মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান বিজয় সরদার, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সঞ্জয় কুমার দাস সহ চৌকিদার রাজার নাম উল্লেখ করে ৭/৮ জন কে অজ্ঞত নামা আসামী করা হয়েছে। মামলার বিবরণে জানা গেছে ২৫ জুন রাত আনুঃ সাড়ে ১১ টার সময় মামলার বাদী দীন বন্ধুর পুত্র মুদি দোকানদার রথীন্দ্রনাথ গিলাবাড়ী বাজারের আহসান দোকানদারের নিকট ২৭ টি ড্রামে ৮০০ লিটার কেরোসিন তৈল বিক্রি করেন ৫২,৮০০ টাকায়। এসময় আহসান নগত ৪৫,০০০ টাকা দিয়ে বাকী ৭,৮০০ টাকা কয়েক দিন পরে দেবে বলে জানায়, এ মহুর্তে খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বিজয় এবং তার সচিব সঞ্চয় দাস ও চেীকিদার রাজা সহ আরো ৭/৮ জন ঘটনাস্থলে পৌছে বিক্রিত তৈল ছিনিয়ে নেয় এবং চোরাই তৈল বলে হুমকী দেয়। কিন্তু রথীন এসময় চেয়ারম্যানকে জানায়, খুলনা থেকে তৈল ক্রয় করার মেমো আছে এবং আমি আহসানের কাছে বিক্রি করে নগত ৪৫,০০০ টাকা নিয়েছি। এ কথা বলার সাথে সাথে সচিব সঞ্চয় দাস ও চৌকিদার রাজা রথীনের হাত থেকে ৪৫,০০০ টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং চেয়ারম্যান হুমকী দিয়ে বলে তেল টাকা কিছুই পাবি না। চেয়ারম্যান আরো বলে কাউকে জানালে তোদের নামে মামলা দেব। অতঃপর চেয়ারম্যান ২৭ ড্রাম তৈল নিয়ে ঐ রাতেই অন্যত্রে বিক্রি করে। এ ছাড়া চেয়ারম্যান দোকানদার আহসানের নিকট চোরাই তৈল ক্রয় করা বাবদ ৫,০০০ টাকা ট্রলার মঝি খোকন এর ৫,০০০ টাকা জরিমানা করে। খবর নিয়ে জানা গেছে, ঘটনার পরদিন রথীনের বাবা দীনবন্ধু চেয়ারম্যান বিজয়ের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তার কাছে তৈল ও টাকা ফেরত চাইলে বিভিন্ন হুমকী ধামকী এবং মামলার ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়। এর পর দীনবন্ধু এলাকার বিভিন্ন মানুষের কাছে ধর্না ধরে বিচার না পেয়ে মামলা করেছেন। এ বিষয় দীনবন্ধুর সাথে কথা বললে তিনি বলেন চেয়ারম্যান আমাকে বিভিন্ন ভয় ভীতি দেখিয়ে মামলা করতে নিষেধ করেছেন কিন্তু আমার ছেলে রথীন কোন চোরাই ব্যবসা করেনা এবং অন্যায় করেনি বিধায় আইনের আশ্রয় নিয়েছি। এ সম্পার্কে সচিব সঞ্জয় দাসের সাথে যোগাযোগ করতে তার ০১৭৪৯-৯১৫৮০৬ নাম্বারে বারবার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। তবে মামলা সম্পার্কে আদালতে খবর নিয়ে জানা গেছে ৩ জন বিবাদী সকলের নামেই সমন জারি করেছেন আদালত।